নোয়াখালীতে পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে ৬০ পাউন্ডের কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন নোয়াখালীর বিআরটিসি সোনাপুর বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
.
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজস্ব হলরুমে শিশুদের নিয়ে এ কেক কাটেন বিআরটিসির সোনাপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদী।
.
কেক খেতে পেরে আনন্দিত শিশু ইয়াকুব মিয়া, সোহেল আহমেদ। তারা বলেন, আমরা কেক কেটেছি, কেক খেয়েছি। আমাদের কাছে খুব ভাল লেগেছে। এত বড় কেক আমি কখনো দেখিনি। খুব ভাল লাগলো। অনেক খুশী লাগছে।
.
৬০ পাউন্ডের কেক কাটায় যুক্ত হয়ে সিএনজি চালক আমিন উল্যাহ বলেন, আমাকে স্যাররা ডেকে নিয়ে আসছেন। আমার নাতিনকে নিয়ে এসেছি। এত বড় কেক খেতে পেরে খুব আনন্দিত।নোয়াখালীতে কেউ এত বড় কেক কাটেনি। বিআরটিসি বাস ডিপোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর আয়োজনের জন্য।
.
বিআরটিসি বাস ডিপোর চালক জয়নাল আবেদীন বলেন, এই বিআরটিসি প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর কলিজার টুকরা ছিলেন শিশু শেখ রাসেল। শিশু রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করতে পারা আমাদের জন্য আনন্দের। জন্মদিন উপলক্ষে সকল ধরনের শ্রমিক ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে আনন্দ করেছি। আমাদের কাছে খুব ভালো লাগলো।
.
বিআরটিসির সোনাপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদী বলেন, শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে আজ অন্য রকম বাংলাদেশ হতো। চারদিকে নানা আয়োজনে পালিত হতো শেখ রাসেলের জন্মদিন। ফুল সুরভি ছড়ানোর আগেই ঘাতকরা ফুলটিকে নষ্ট করে ফেলেছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে ৬০ পাউন্ড কেক কেটেছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুসহ সকল নিহতের জন্য দোয়া করেছি। যারা নিজেদের জন্মদিনও কখনো পালন করেনি এবং কখনো এত বড় কেক ও দেখেনি। পুরো কেকটা তারা খেয়েছে এবং আজ তারাই আনন্দ করেছে।
.
এসময় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু, সোনাপুর বাস ডিপোর প্রশিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামসহ বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, বাস চালক ও চালকের সহকারীগণ এবং তাদের পরিবারের শিশু কিশোর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
.
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল সালের এই দিনে । ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারান শিশু শেখ রাসেল। ওই সময় রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।

Sharing is caring!