নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যারা দেশের প্রাণ তাদের কল্যাণে সরকার কাজ করছে। যারা দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখছে তাদের জন্য কিছু করতেই অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে রেইজ প্রকল্প। দিন দিন প্রবাসীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা বাড়ছে। কিন্তু মানুষ দালালদের খপ্পরে পড়ে বিদেশ গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। যাচাই-বাছাই না করেই দালালদের মিষ্টি কথায় লোভে পড়ে যাচ্ছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নোয়াখালীতে বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে রেইজ প্রকল্পের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের টাকা না পেলে আমাদের দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়তো। তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমি বদ্ধ পরিকর। নোয়াখালী জেলায় কোনো প্রবাসী যদি জমি, অর্থ বা অন্য যেকোনো সমস্যায় পড়েন আমি গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখবো। আমার দরজা প্রবাসীদের জন্য সব সময় খোলা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে ওয়েজ অর্নাস কল্যাণ বোর্ডের উপ-পরিচালক (কল্যাণ) শরিফুল ইসলাম, নোয়াখালী ওয়েলফেয়ার সেন্টার সহকারী পরিচালক খুরশীদ আলম, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক আবু ছালেক, নোয়াখালী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ রফিকুল্লাহ, সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মানস মন্ডল, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুফিদুল আলম বলেন, বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা, পরামর্শ, প্রশিক্ষণ এবং পুনরায় কর্মসংস্থানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০১৫ সাল হতে প্রত্যাগত কর্মীরা প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পাবে। কর্মীদের নগদ প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত কারিগরি ও আর্থিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা করা হবে, যাতে করে তারা সম্মানের সঙ্গে সমাজে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকতে পারে। এছাড়া বিদেশ ফেরত দক্ষ কর্মীদের আরপিএল-এর আওতায় দক্ষতা সনদের ব্যবস্থা করা হবে। এই সনদ কর্মীদের দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও পরামর্শের জন্য আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি।

অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মী, জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Sharing is caring!