নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ১০ লিটার অকটেন তেলে ৪৮০ মিলিলিটার কম দেওয়ার দায়ে মেসার্স আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের দিঘীরজান এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রতিনিধিসহ হাজির হন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ। এ সময় বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত পরিমাপক যন্ত্রে প্রতি ১০ লিটার অকটেনে ৪৮০ মিলিলিটার কম তেল পাওয়া যায় এবং ডিসপ্লে নষ্ট অবস্থায় তেল বিক্রি করতে দেখা যায়। এ ছাড়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে পাম্পটির বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করায় আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর ২৯/৪৬ ধারায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে ডিস্পেন্সিং ইউনিট সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আহসান হাফিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইন অনুযায়ী পেট্রল পাম্পটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তারা জরিমানার টাকা নগদ পরিশোধ করেছেন এবং ভবিষ্যতে এরকম ভুল হবে না বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পরবর্তীতে নতুন ডিসপ্লে প্রতিস্থাপন ও মেশিন ক্যালিব্রেশন করে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ডিসপেন্সিং ইউনিট পুনরায় চালু করা যাবে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Sharing is caring!