হাতিয়া প্রতিনিধিঃনোয়াখালি জেলার হাতিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে উপজেলার ২৩০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ বুধবা সকাল ০৯:০০টা থেকে দুপুর ১:০০টা পর্যন্ত অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করছে শিক্ষকগণ। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিশ্চিতকরনের দাবীতে কর্মবিতি পালন করা হয়। কর্মবিরতির বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি এস ১২০৬৮ হাতিয়া শাখার সভাপতি এবং হাতিয়া শিক্ষক ঐক্যর পরিষদের সদস্য সচিব নুরনবী শাহীন জানান আমরা কেন্দ্রিয় কমিটির ঘোষনানুযায়ী কর্ম বিরতি পালন করছি। আমাদের যৌক্তিক দাবী সরকার মেনে না নিলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি হাতিয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজদ উদ্দিন মাসুম জানান, আমাদের এক দফা দাবির প্রেক্ষিতে সারাদেশে গতকাল ১৫ অক্টোবর সোমবার ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।হাতিয়া উপজেলাতেও গতকাল ২৩০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ঘণ্টা কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।গতকাল সকাল ১০:০০ থেকে দুপুর ১:০০ টা পর্যন্ত ৩ঘন্টাকর্মবিরতি পালন করেছে হাতিয়া উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আজ বুধবার সকাল ৯:০০ টা থেকে ১:০০টা পর্যন্ত অর্ধ দিবস,বৃহস্পতিবার পূর্ন দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। দাবী মানা না হলে ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহা সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা দেয়া হবে।কেন্দ্রীয়কমিটির কার্যকরী সদস্য হাসান উদ্দিন বিপ্লব জানান বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ডাকে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ ৩ঘণ্টা কর্মসূচী পালিত হয়েছে।হাতিয়া উপজেলা শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মাহফুজুল ইসলাম কাইয়ূম হাতিয়া প্রতিনিধিকে জানান,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইসতেহারে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন ও প্রধানমন্ত্রীর ভয়েস কলের বাস্তবায়ন চাই।এরই মধ্যে শিক্ষকদের প্রাণের দাবি আদায় না হলে ২৩ অক্টোবর ঢাকা শিক্ষক মহাসমাবেশের মাধ্যমে আগামিতে লাগাতার কর্য়মসূচী ঘোষনা করবেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা না আসা পর্যন্ত কর্মসূচী চলতে থাকবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেলে শিক্ষকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিবে।দাবী আদায়ে সারা দেশের শিক্ষকগণ অঙ্গীকারাবদ্ধ।জয় হোক শিক্ষকের মর্যাদার,দূর হোক বেতন বৈষম্য।

Sharing is caring!