এনকে টিভি প্রতিবেদক, ফেনী:

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে প্রায় ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে সোনাগাজী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সাতবাড়ীয়া নামক স্থানে সেতু নির্মান হচ্ছে। সেতুর একপ্রান্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল অপর প্রান্তে দোকান, বসতবাড়ী ও এলজিইডির পাকা সড়ক। পানি প্রবাহের কোন সম্ভাবনা নেই। আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রস্তাবিত ফোরলেন বাস্তবায়িত হলে আবার ভাঙা হতে পারে অর্ধকোটি টাকার এ সেতু। এ যেন উন্নয়নের নামে অপচয়। স্থানীয়দের প্রশ্ন উন্নয়নের নামে এ অপচয় রুখবে কে ? সংশ্লিস্ট সকল দপ্তরে যোগাযোগ করেও সদুত্তর মেলেনি কারো কাছে। পরষ্পর দোষারোপ ও অভিযোগের মধ্যেই দুই লেনের সড়ক কাটা শেষ করে এগুচ্ছে কাজ।

 

স্থানীয়রা জানায়, মাত্র দুইশ মিটার দক্ষিনে জরাজীর্ন সাতবাড়ীয়া সেতু থাকা সত্বেও এ সেতু নির্মাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সওজের কর্মকর্তাদের অনভিজ্ঞতার কারনেই এমনটি হচ্ছে। সরজমিনে সম্ভাবতা যাচাই না করে দপ্তরে বসে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ায় এভাবে সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে।

 

এ প্রসঙ্গে, সওজ ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হালিমুর রহমান বলেন, ওই স্থানে পাইপ কালভার্টের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন হতো। পাইপ ভেঙে সড়ক ধ্বসে যাচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের অনুরোধে সেতুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেতুর কাজ শেষ হলে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।

 

এ ব্যাপারে, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের সাথে কোন প্রকার পরামর্শ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরের (সোনাগাজী- মিরসরাই) জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক মহাসড়কটি শীঘ্রই ফোরলেনে উন্নীত হবে। এই মূহুর্তে এ ধরনের নির্মান অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই না।

 

তিনি আরও বলেন, ওই গ্রামের দুপাশে খাল রয়েছে । গত ৬০ বছর ধরে পানি চলাচলের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগ খাল খনন এবং প্রয়োজনীয় কালভার্ট স্থাপন করেছে। প্রয়োজনে সড়কের পাশে ছোট খাল নির্মান করা যেতে পারে । কিন্তু পরিকল্পনা ছাড়া এহেন সরকারি অর্থ অপচয় আমরা সমর্থন করিনা।

 

উল্লেখ্য, সোনাগাজী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সাতবাড়ীয়া নামক স্থানে প্রায় ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩২ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের সেতু নির্মান করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঠিকাধারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ এন্টারপ্রাইজ’র স্বর্তাধিকারি সালেহ বাবুল জানায়, আগামী ৬ মাসের মধ্যে উক্ত নির্মান কাজ শেষ হবে।

 

  • এনকে টিভি/বি/এস/এম/এস

Sharing is caring!