নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিক্রিত সম্পত্তি দখল বুঝিয়ে না দিয়ে বাড়ি-ঘরে ভাংচুর করে উচ্ছেদ নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

.

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের চরক্লার্ক গ্রামে এ মানববন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

.


মানববন্ধনে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল হালিম মানিক বলেন, ৩ বছর আগে জমিটা বিক্রি করা হয়। বিক্রিত সম্পত্তি দখল বুঝিয়ে না দিয়ে বাড়ি-ঘরে ভাংচুর করে উচ্ছেদ নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

.

স্থানীয় বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, নিজেদের ঘর নিজেরা ভেঙে যে মামলা দিয়েছেন গৃহবধূ তা মিথ্যা মামলা। তাদেরকে এক সপ্তাহের জন্য থাকতে দেওয়া হয়েছে। সেই সুযোগে বিক্রিত জমিতে উচ্ছেদের নাটক করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের এনায়েত মেম্বার ভাল মানুষ। এই মহিলা মেম্বারকে নিয়েও খারাপ কথা বলছেন। আমরা এই মহিলার বিচার চাই।

.

চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. আবুল বাসার বলেন, জমির মালিক ইউসুফ ও ইব্রাহিম। তারা ৩ বছর আগে ৭ লাখ টাকা দিয়ে জমিটি কিনেছে। আমরা গৃহবধূকে অনেকবার বলেছি। তিনি না মানায় ইউসুফ ও ইব্রাহিমদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। কিন্তু গৃহবধূ উল্টো গড় বাড়ি উচ্ছেদের মামলা দিয়েছেন।

.

ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে প্রায় এক বছর আগে। তাই এখন মায়ের সঙ্গে বসবাস করছি। এর মধ্যে স্থানীয় এনায়েত মেম্বার আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি ইউসুফ ও ইব্রাহিমসহ আমাদের বসতঘর উচ্ছেদ করেন। জমি নিয়ে ইউসুফ ও ইব্রাহিমদের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই বিরোধ চলছে। আমি এ অন্যায়ের বিচার চাই।

.

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য এনায়েত হোসেন বলেন, গৃহবধূ আমার বড় বোনের বয়সি। আমি তাকে কোনো কুপ্রস্তাব দেইনি। তার বসতবাড়ি উচ্ছেদের সঙ্গেও আমি জড়িত না। ইউসুফ ও ইব্রাহিমদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার বিরোধ চলছে। তিনি আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

.

এ বিষয়ে চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাস বলেন, উচ্ছেদের ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ থানায় একটি মামলা দিয়েছেন। আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি।

.

Sharing is caring!