মো. আসাদুল্যাহ মিলটন ও রাসেল মাহম্মুদ অনন্ত ॥ জেলা শহর মাইজদীর বুক চিরে শম্ভুক গতিতে এগিয়ে চলছে ফোরলেন সড়কের নির্মাণ কাজ। তবে এ সড়কটি নির্মাণে ১০ দশমিক ০২ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় সড়ক নির্মাণেও শম্ভুক গতি লক্ষ্য করা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে- ভূমি অধিগ্রহণ (চলমান) পুরোপুরি শেষ হলে দ্রুতগতিতে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জেলা সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুদ জানান, জেলার একমাত্র ফোরলেন এ সড়কের নির্মাণ কাজ প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৯৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং চৌরাস্তা থেকে পৌর বাজার পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৪ মিটার ও পৌর বাজার থেকে সোনাপুর জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৮ দশমিক ২ মিটার প্রশস্ত এ সড়কটির নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের জুন মাসে শেষ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. মাসুদ জানান, নির্ধারিত বাজেটেই কাজটি শেষ করা হবে। কাজের ব্যয় বাড়ানো হবে না। তবে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় কিছুটা বাড়বে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন। সড়কটি বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোজা গিয়ে সোনাপুর জিরোপয়েন্টের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোনাপুর পৌর বাস টার্মিনাল সড়কের সাথে মিলিত হবে। এছাড়া ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কটিও বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় এসে মিলিত হবে। এ ফোরলেন সড়কটি নির্মিত হলে জেলা শহরের যানজট নিরসন হবে এবং সোনাপুর জিরোপয়েন্টে সারাক্ষণ যেভাবে যানজট লেগে মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হতো তা থেকে জনসাধারণ পরিত্রাণ পাবে। এছাড়া এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন জেলার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা যাতায়াত করেন। কিন্তু যানজটের কারণে তারা প্রায়শই সময়মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছতে পারেন না। ফলে এ ফোরলেন সড়ক নির্মিত হলে শিক্ষাজীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যানজট নিরসন হবে বলে বেশ কয়েকজন ছাত্র-শিক্ষক তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর নিরলস প্রচেষ্টায় এ সড়কটি নির্মিত হচ্ছে। এতে করে জেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ জনগোষ্ঠী জেলা শহরে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে পুনরায় নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে পারবেন। এ জেলায় ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমায় শত শত মানুষ প্রতিদিন জেলা শহরে কোর্ট-কাছারিতে যাতায়াত করেন। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন আপামর এসব জনগোষ্ঠী।

Sharing is caring!