নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিনের নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু নৌকা প্রতীকে প্রচারণা চালাচ্ছেন মো. কামাল খান। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ও হাস্যরসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।দু’পক্ষই নিজেদের প্রতীক নৌকা দাবি করছেন।
.
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

.
মো. কামাল উদ্দিন ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের হাজী বজলুর রহমানের ছেলে। মোহাম্মদ কামাল খান একই ইউনিয়নের দক্ষিণ জগানন্দ গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
.
কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু এনকেটিভি কে বলেন, সার্কাসের যেন শেষ নেই! ‘কামাল উদ্দীন’ নাম হয়ে যাচ্ছে ‘কামাল খান’! এই কামাল খান কখনোই আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলনা।। তিনি ভারত থেকে এসেছেন। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, এটা আমাদের জন্য খুব কষ্টের। অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী থাকার পরও এমন কিছু আমাদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
.
এ বিষয়ে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আমিন রুমি বলেন, মো. কামাল উদ্দিন আমার ভাই। তালিকা প্রকাশ হবার পর থেকে সে এলাকায় এসে মানুষের সঙ্গে দেখা করেছে,কুশল বিনিময় করেছে। ২৪ নভেম্বর বিকেলে সবাই বলাবলি করছে মোহাম্মদ কামাল খান নাকি মনোনয়ন পেয়েছে। এটা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
.
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মনোনয়ন পাওয়া মো. কামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন,আমার নমিনেশন ছিনতাই করা হয়েছে। আমি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছি। এটা নিয়ে কারও মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। কেননা আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তালিকা প্রকাশের পরও প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টি আমার এবং দলের জন্য লজ্জাকর।
.
এদিকে মো. কামাল খান বলেন, কম্পিউটার টাইপিং ভুল হয়েছে। তালিকায় আমার নাম নেই। তবে আমার নামে চিঠি হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করব।তালিকায় নাম না থাকার পরও নমিনেশন পাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান,এটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত।

ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের প্রবীণ আওয়ামীলীগ সদস্যরা বিস্ময় প্রকাশ করে জানান,কামাল খান উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতা।আওয়ামী লীগের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।অর্থের জোরেই নমিনেশন পেয়েছেন।
.
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান জানান , এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারেন। তবে যিনি আমাদের সঠিক দলীয় মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন, তিনিই পাবেন নৌকা প্রতীক।
.
উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নোয়াখালী সদর ও কবিরহাট উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Sharing is caring!