মো. সেলিম:

গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতিক্ষিত নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির ঘোষণা দেন।

কিন্তু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের’র এলাকার একমাত্র মহিলা কলেজ জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজটি তালিকায় নাম না থাকায় শিক্ষকবৃন্দ হতাশ হয়ে পড়েছেন।

 

এর জের ধরে কলেজটির শিক্ষক কর্মকর্তা,কর্মচারী আজ ২৪ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করেন। সেই সাথে র্পূব নির্ধারিত পরিক্ষা ও ক্লাস নেয়া থেকে বিরত থাকেন।

 

জানা যায় শিক্ষকবৃন্দ দীর্ঘ ৯ থেকে ১০ বছর  কলেজটিতে নাম মাত্র ৮০০০ টাকা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছেন।   শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে জানা যায় জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যাবদি কোম্পানীগঞ্জে নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমকিা পালন করে আসছে।

 

কলেজটিতে বর্তমানে ৪ শতাধিক ছাত্রী  পড়াশোনা করছে।  উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ও কলজেটি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।

শিক্ষকবৃন্দ দীর্ঘদিন  সেই সামান্য টাকায় চাকুরী করলেও দীর্ঘ ২২ থেকে ২৩ মাস ধরে বেতন বাকী। তারা আশায় ছিলেন কলেজটি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব এমপিও করে দিবেন।

কেননা ইতঃপূর্বে  তিনি তিন তিন বার কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষকদের  এমপিও করে দিবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি ও  দিয়ে এসেছেন।

কিন্তু গতকাল ঘোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও  ভুক্তির তালিকায় কলেজের নাম না থাকায় শিক্ষকরা অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় শিক্ষকবৃন্দ জানান তাদের পক্ষে আর এভাবে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে চাকরি করা সম্ভব নয়।

শিক্ষকবৃন্দ আরও জানান, এতদিন আশায় ছিলাম এমপিওভুক্ত হবে এই কলেজ। কর্তৃপক্ষ ও সময়ে অসময়ে এই কলেজ নিয়ে অনেক আশা দেখিয়েছেন, উপজেলার একমাত্র মহিলা কলেজ, মন্ত্রীর একান্ত অনুগ্রহের কলেজ,  এখন দেখি সবই ফাঁকা বুলি ছিল। কিন্তু এখন আর কি আশায় বসে থাকবো।

আমাদের বর্তমান ও নেই ভবিষ্যত ও নেই। চাকুরী থাকা আর না থাকা উভয় সমান।  তাই তারা সকল র্কাযক্রম বর্জন করেছেন। এমতাবস্থায় এমপিও না হওয়া র্পযন্ত শিক্ষকরা সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ সহ জাতীয় বেতন স্কেলে বেতন চান।

তারা আরও জানান, এখন থেকে নুন্যতম ছেলে সন্তানদের নিয়ে বেচে থাকার প্রত্যয়ে আমাদের কে  প্রত্যেক মাসে ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে, অন্যথায় কর্মে ফেরা অনিশ্চিত। তাই কলেজটিকে দ্রুত এমপওিভুক্ত করতে মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের ও দেশ রত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Sharing is caring!