নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেছেন, আমরা ভাল ছাত্র হতে পারি কিংবা ভাল শিক্ষক হতে পারি কিন্তু দেশপ্রেম থাকতে হবে। যার মধ্যে দেশপ্রেম নাই তার মধ্যে কিছুই নাই। দেশপ্রেম ভেতর থেকে আসে। এটা বানানো যায় না।

.
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

.

উপাচার্য আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তারা নানা বঞ্চনা সহ্য করতে না পেরে যুদ্ধে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পরও সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। আজ ৫১ বছর পরও দেশপ্রেম আমাদের অনেকের মধ্যে নেই।

.

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক উদ্দিন বলেন, আজ মুক্তিযুদ্ধের সন্তান পরিচয় দিয়ে কিছু পাকিস্তানের বংশধররা সরকারের বিভিন্ন ভাল পর্যায়ে যাচ্ছেন। আমরা তাদের নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। অথচ এরা রাজাকারের বংশধর।

.

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকীর সভাপতিত্বে ও শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. জসিম উদ্দিন (অতিরিক্ত দায়িত্ব), শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল বাশার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমরান মো. আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন চন্দ্র মজুমদার, আইআইএস-এর পরিচালাক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের মেজবাহ উদ্দিন ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আবদুল্লাহ আল মামুন ।

.

এসময় উপস্থিত ছিলেন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, দপ্তরসমূহের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

.

প্রসঙ্গত, দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা, শোভাযাত্রা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণমূলক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দেয়ালিকা উন্মোচন, আলোকচিত্রী প্রদর্শন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

.

Sharing is caring!