বিশেষ প্রতিনিধি 
.
নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মফিজ উল্যার (৬৫) নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
.
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার) ১নং আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
.
এর আগে সোমবার (২৫ জুলাই) ভোরে ওই ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মফিজ উল্যাহর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
.
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মফিজ উল্যাহর সাথে পার্শ্ববর্তী মৃত আলী আকবরের ছেলে রফিক উল্যহর সাথে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিষয়ে ২০১৯ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে ও থানায় অভিযোগও করা হয়। সোমবার (২৫ জুলাই) ভোরে একই বাড়ির রফিক উল্যাহ ও তার ছেলে আবদুর রহিমের ইন্ধনে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ছালেহপুর গ্রামের মৃত আমিন উল্যার ছেলে মো. সবুজ (২৪), বিনোদপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে ফিরোজ (২৬), গিয়াস উদ্দিন (২৮), রফিক উল্যাহ (৫০) সহ ৩০-৩৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘর বাড়ি, দরজা জানালা ভেঙ্গে, আলমারি ভেঙ্গে টাকা পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার সব লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ উল্টো হামলার শিকার মফিজ উল্যাহ ও তার স্ত্রীকে থানায় এনে দুপুর পর্যন্ত আটক করে রাখার অভিযোগ করেছেন তার বড় ছেলে নজরুল ইসলাম।
.
মফিজ উল্যার বড় ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের গেইটের সামনের হাটার জায়গায় তারা বিল্ডিংয়ের পিলার দিয়েছে আবার ছাদও দেড় ফিট পরিমান দিয়েছে আমাদের জায়গার ভেতর। আমরা এলাকায় থাকিনা। আমার বৃদ্ধ বাবা মা তাদের কাজে বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন রড, লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে আসে। পরে আমরা আদালতের পিটিশন মামলা দায়ের করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার ভোরে
.
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হামলার বিষয়ে আমার বোন ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা চায়। পুলিশ ৯টার দিকে তদন্তে আসে। ঘটনার তদন্তকারী এএসআই এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। সে অনুযায়ী আমার বাবা মফিজ উল্যা বেলা সাড়ে ১১টায় থানায় গেলে পুলিশ আমার বৃদ্ধ বাবাকে থানায় বসিয়ে রেখে আমাদের বাড়িতে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে আমার আম্মাকেও ধরে নিয়ে এসে দুজনকেই হাজতে আটকে রাখে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আমার বাবা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রæত বিচার) ১নং আদালতে মামলা দায়ের করেন।
.
হামলার বিষয়ে জানতে মামলার ৩ নং আসামি আবদুর রহিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমার সাথে ওনাদের কোনো বিরোধও নেই। তবে আমার চাচি (কাকি) ঝর্ণা বেগমদের সাথে বিরোধ আছে।
.
অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। ইতোপূর্বে উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হয়। একাধিকবার নোটিশ করার পরও তারা মানছিলেন না। সোমবার ৯৯৯ থেকে অভিযোগ পাবার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলে আসি। মফিজ সাহেবের স্ত্রীকে হাজতে আটক রাখার বিষয়টি সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ জায়গার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির কারণে মফিজ উল্যাহ ও ঝর্ণা বেগমকে ১৫১ ধারায় চালান দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। পরে ওসি সাহেবের নির্দেশে তাদের আর কোর্টে চালান দেয়া হয়নি।

Sharing is caring!