মোহাম্মদ শহিদঃ  

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে ফের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বসুরহাট বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

 

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিকেলে বসুরহাট বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে বাধা দেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।  খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গেলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এখনও বসুরহাটে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা করার সময় আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা হামলা চালায়। বর্তমানে পৌর ভবনের বটতলা থেকে অনবরত গুলি চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার এএসআই ফরিদ  বলেন, এই মুহূর্তে কোনো তথ্য দিতে পারছি না। আমাদের সব পুলিশ ফোর্স বাহিরে আছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক  বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Sharing is caring!