সপ্তমবারের মতো ফিফার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি, সেরা কোচ লিওনেল স্কালোনি ও সেরা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ফিফার বেস্ট অ্যাওয়ার্র্ডের আট ক্যাটেগরির চারটিই উঠেছে আর্জেন্টিনার ঝুলিতে।

প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দুই ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। বেনজেমা বিশ্বকাপে খেলতে না পারলেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। এর সুবাদে ব্যালন ডি’অর জিতলেও সেটি মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনায়। ফিফা ‘বেস্ট’ পুরস্কারে দেখা হয়েছে বছরের পারফরম্যান্স। তাতে মেসি এ দুজনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে পুরস্কারটি জিতেছেন।

ফিফা দ্য অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের শুরুতেই কিংবদন্তি পেলেকে স্মরণ। তাকে উৎসর্গ করে একটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন ব্রাজিলিয়ান শিল্পী। অতিথিদের সারিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আওকি।

প্যারিসে পুরস্কারের মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। লিওনেল মেসির হাতে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার দ্য বেস্ট তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় সেই আনুষ্ঠানিকতা। সোমবার মেসির হাতে সেরার ট্রফি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়োনো মার্টিনেজ যেন বড় মঞ্চের তারকা। লিওনেল মেসিদের সঙ্গে অনেকটা আলো কেড়ে নেন মার্টিনেজ। হয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষক।

এদিকে প্যারিসে এসেই সুখবর পেলেন লিওনেল স্কালোনি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা কোচের দায়িত্ব নিশ্চিত করে ফিফার মঞ্চে উঠেন পুরষ্কার নিতে। কাতারে বিশ্বকাপ জেতানোর সুবাদে বেস্ট কোচের পুরষ্কার জিতেছেন স্কালোনি।

এদিকে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন আলেক্সিয়া পুতেয়াস। ইংলিশ ফুটবলার বেথ মিড ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালেক্স মর্গ্যানকে হারিয়ে পুরস্কারটি জিতলেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পুতেয়াস। ২০২১ ও ২০২২ সালের ব্যালন ডিঅ’রও জিতেছেন ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

এছাড়া ফিফার বর্ষসেরা গোলের জন্য ‘পুসকাস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন পোল্যান্ডের মারচিন ওলেকসি। বর্ষসেরা নারী কোচের পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের সারিনা উইগমান। ‘ফিফা ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন জর্জিয়ান লুকা লোশোভিলি

Sharing is caring!