নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর (২০) নামে এক তরুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় দুইভাই মিঠু চন্দ্র দাস ও জিতু চন্দ্র দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় তাদেরকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিতরা সুবর্ণচর উপজেলার মধ্য চরবাটা গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চরবাটা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম ছিল কামরুল ইসলামের। মেয়েটির বাবা তাদের প্রেমের বিষয়টি মানতে না পেরে কামরুলকে শায়েস্তা করতে প্রতিবেশী মিঠু চন্দ্র দাসকে বলেন। এ সময় মিঠু চন্দ্র দাসের সঙ্গে ওই মেয়েটির প্রেম হয়। ২০১৮ সালের ৮ জুন প্রেমের ঘটনা নিয়ে মিঠু চন্দ্র ও কামরুলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই রাতে মিঠু ও তার ভাই জিতু কৌশলে বাড়ি থেকে কামরুলকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে কামরুলের মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের একটি বাগানে লুকিয়ে রাখেন। পরদিন বস্তাবন্দি অবস্থায় কামরুলের মরদেহ পুলিশ ওই বাগান থেকে উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় কামরুলের ভাই বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে দুই ভাই মিঠু ও জিতুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

Sharing is caring!