নোয়াখালী পৌরসভার পার্কে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় ১০ কিশোর-কিশোরীকে আটক করেছে পুলিশ।
.
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের নির্দেশে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়।
.
পরে নোয়াখালী জেলা পুলিশের ফেসবুকে আটকদের মুখঢাকা ছবি দিয়ে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। তবে এতে আটকদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার সন্তানের দিকে খেয়াল রাখুন। স্কুল কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আপনার সন্তান স্কুল ফাঁকি দিয়ে পার্কে মোবাইল আড্ডা বা মাদকাসক্ত হচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন।’

.

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি এনকে টিভিকে নিশ্চিত করেছেন।
.
তিনি বলেন, নোয়াখালী পৌর পার্কে কিশোর-কিশোরীরা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করে আসছিল। এছাড়া কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অত্যাচারে পার্কে আগত সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিনা প্রয়োজনে পার্কে অহেতুক আড্ডা দেওয়া ১০ কিশোর-কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে। পরে কিশোর-কিশোরীদের বয়স বিবেচনায় ভবিষ্যতে সংশোধনের স্বার্থে অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়।
.
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এনকে টিভিকে বলেন, পার্কে অনেক সময় কিশোর-কিশোরীরা নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি দেখে অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। তাই অভিযানের মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়েছিল।
.
পৌর পার্ক, হাউজিং বালুর মাঠ, মিনি চাইনিজের নামে ছোট ছোট খোপের রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন মার্কেটে ক্লাস চলাকালে স্কুল শিক্ষার্থীদের ঘুরে বেড়ানোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
.
এদিকে কোম্পানীগঞ্জে এক সপ্তাহে নবম-দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ কিশোরী প্রেমের টানে পালিয়ে গেছে বলে তথ্য দিয়েছে থানা পুলিশ। ‘প্রেমের টানে পালানোর ’ ক্ষতিকর দিক বোঝাতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে পুলিশ।

Sharing is caring!