মো. সেলিম:

নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ও ধানশাঁলিক ইউনিয়নে বে-আইনী বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) কবিরহাট, নোয়াখালীর এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস।

 

অভিযান চলাকালীন উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের বাদামতলাতে ১টি, শাহাজীর হাট টু সল্লারহাট সড়কের পাশে ১টি, ধানশাঁলিক ইউনিয়নের জনতা বাজারের দক্ষিন পাশে ১টি সহ মোট ৩টি ড্রেজার মেশিনের পাইপ কেটে প্রাথমিক ভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ধানশাঁলিক ইউনিয়নের জনতা বাজার থেকে ২টি মেশিন জব্দ করা হয়। জব্দকরা মেসিন গুলো স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম মেম্বারের দায়িত্বে কবিরহাট থানায় পৌছানোর নির্দেশ দেয়া হয়। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় কোন প্রকার জরিমানা কিংবা জেল দেয়া সম্ভব হয়নি। সেই সাথে তাদেরকে সতর্ক করা হয় যাতে পরবর্তীতে পুনোরয় বালু উত্তোলন না করে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানান, এলাকার কিছু অসাধু ব্যাক্তির সহযোগিতায় দীর্ঘদিন যাবত ঘোষবাগ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন মেম্বার ও কবিরহাট পৌর যুবলীগের শেখ সাদী ও ধানশাঁলিক ইউনিয়নের আঃ হক নামের এক ব্যাক্তি প্রজেক্ট করা ও জায়গা ভরাটের নাম করে এভাবেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। এলাকার নিরিহ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে চায়না কেননা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

 

উল্লেখ্য ধানশাঁলিক ইউনিয়নের জনতা বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে বালু উত্তোলনকারী আব্দুল হক নিজেকে ঢাকা টিএন্ডতে চাকুরী জীবি দাবি করে তার সাথে ঢাকার শহর সহ বিভিন্ন জায়গার বড় বড় সাংবাদিকদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন সেই সাথে তিনি তার ভাতিজা পুলিশের এএসপি আছে বলেও ধমক দেন। এমতাবস্থায় ঢাকা টিএন্ডটি বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসির দাবি তিনি ঢাকাতে টিএন্ডটিতে চাকুরী করার সুবাধে এলাকায় তার প্রভাব দেখিয়ে বে-আইনী ভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হোক।

 

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভুমি) কবিরহাট, নোয়াখালীর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস জানান, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ঘোষিত বালু মহাল ছাড়া অন্য যেকোন জায়গা থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা দন্ডনীয় অপরাধ। উল্লেখ্য কবিরহাট উপজেলাতে কোন বালু মহাল নেই তা জানা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যক্তি যত্রতত্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে সে অপরাধ টি হর-হামেশাই করে যাচ্ছিল। বারংবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করলোনা তাই অগত্যা সাধারন মানুষের কল্যানার্থে স্পটে যেতে হলো। এর পর ড্রেজার মেশিন জব্দ করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হলো। তবে বালু উত্তোলন কারী সেই অসাধু ব্যক্তিগণ দ্রুত খবর পেয়ে অভিযান কারী টীম আসার আগেই চম্পট দেয়।

 

উক্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, স্থানীয় সাংবাদিক মো. সেলিম, হারুন, কবিরহাট থানার এসআই মোস্তাক ও তার সঙ্গীয় ফোর্স এবং এসিল্যান্ড অফিসের নাজির এনায়েত উল্যা, চাপরাশির হাট ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন প্রমূখ।

Sharing is caring!