মো. আসাদুল্যাহ মিলটন : রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত অন্তত ২০ জেলায় প্রায় তিন শতাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে।
আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:
নাটোর নাটোরে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তরা সবাই ঢাকা থেকে নাটোরে এসেছে। সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম জানান, তারা পরীক্ষা উপকরণ সংগ্রহের জন্য আজই ঢাকায় লোক পাঠাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৭ জন রোগী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শনিবার ৩ জন এবং রোববার ৪ জন রোগী ভর্তি হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চোধুরী জানান, সদর হাসপাতালে ভর্তি ৭ জনের মধ্যে ৬ জনই নিশ্চিতভাবেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত। বাকি একজনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তবে প্রাথমিক লক্ষণ দেখে তিনিও ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে।
কুমিল্লা কুমিল্লার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এ পর্যন্ত ৩০ জনে পৌঁছেছে। ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে আসা এ সকল রোগী কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়।
বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন ১৭ জন। চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে কুমিল্লায় আসা এ সব রোগীর মধ্যে ১৩ জন অনেকটা সুস্থ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চলে গেছেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, কুমিল্লার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে কুমিল্লা মেডিকেলে যে ১৭ জন ভর্তি আছেন তারা অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়েই আছেন।
যশোর যশোরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার বিকাল পর্যন্ত ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ থেকে ঢাকা নেয়ার পথে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া রাণী (৫৩) নামে এক রোগী মারা যান।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমিও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছি। সেখানে মশারির ব্যবস্থা নেই। এমন অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনরা করেছেন। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে মশারির ব্যবস্থা করবো।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতালে এক নারীসহ ৪ জন ডেঙ্গু রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরআগে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও এক নারী। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত তারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে সবাই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শামীম কবীর বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের রক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দিচ্ছি।
শেরপুর শেরপুর জেলা হাসপাতালে রোববার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগে আরও তিনজন জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ নিয়ে ৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হলো।
এ ব্যাপারে জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবির সুমন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য মশারিসহ আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি।
চাঁদপুর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে আরো সাতজন ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। দুই দিন ধরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী আসতে শুরু করে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল আজিম জানান, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে মূলত ডেঙ্গু (ফিভার) জ্বরের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তবে ডেঙ্গু হেমোরাইজিং এবং ডেঙ্গু শকড্ সিনড্রোমের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে এখন যারা ভর্তি আছে, তাদের সবাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত।
খুলনা চলতি মাসের ২২ দিনে ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ জন, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নয়জন ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত দুজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে তাদের মৃত্যু যে ডেঙ্গুর কারণেই হয়েছে তা নিশ্চিত না।
সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নয়জনই ঢাকা থেকে আসার পর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ফেরদৌসী আক্তার বলেন, ৩ জুলাই বিভাগীয় পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগের তথ্য সংরক্ষণের জন্য সেল খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭১ জন শনাক্ত হয়েছেন।
ঝিনাইদহ গত ১৫ দিনে ঝিনাইদহে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। এদের মধ্যে ছয় জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আয়ুব আলী জানান, গত ১৩ জুলাই (শনিবার) থেকে রোববার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ১০ জন রোগী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। পরে তাদের রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা পড়ে। এদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে এবং চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ছয়জন ও বাকি একজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন জেলার শৈলকুপা উপজেলার বিপ্রবকদিয়া গ্রামের দু’জন।
চট্টগ্রাম বন্দরনগরীতে ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব মতে, প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে নগরীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৯ জন রোগী শনাক্ত করেছে সিভিল সার্জন অফিস। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, সর্বশেষ শুক্রবার সাতজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র আটজন। কিন্তু ২০ থেকে ২৬ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। আর গত ছয়মাসে এ সংখ্যা ছিল মাত্র তিনজন।
ফেনী সদর হাসপাতালে গত ১৫ দিনে ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১ জন এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ছয়জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আর ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একজন রোগী। অন্য চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ জেলায় চিকিৎসা নেয়াদের বেশির ভাগই রাজধানীতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আবু তাহের পাটোয়ারি জানান, শনিবার পর্যন্ত ২১ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪ জন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নেয়াতুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ফেনীতে কোনো এডিস মশার জীবাণু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। এখানে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে এ জীবাণু নিয়ে আসছেন।’
রংপুর গত আট দিনে ২১ জন রোগী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তরা সবাই ঢাকায় থাকতেন। সেখানেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. সুলতান আহমেদ জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
পিরোজপুর স্বরূপকাঠি উপজেলায় একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। আক্রান্ত নুর ইসলাম রাহুতকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পাবনা সদর হাসপাতালে চার দিনে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই ঢাকায় ছিলেন। তারা জানান, রাজধানী থেকে ফেরার পরই তারা জ্বরে আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসকের কাছে গেলে রক্ত পরীক্ষা করে তাদের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এসব রোগীর মধ্যে ছাত্র, ব্যবসায়ী এবং পরিবহন ও পোশাক শ্রমিক রয়েছেন।
সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন ঢাকায় অবস্থানকালে ডেঙ্গুর শিকার হয়েছেন। ‘এর বাইরে স্থানীয় পর্যায়ে দুজন রোগীকে আমরা পেয়েছি।’
হাসপাতালের বহির্বিভাগেও কয়েকজন রোগী পাওয়া গেছে এবং তাদের ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল বলেন, ‘আক্রান্তরা ঢাকা থেকে অসুস্থ হয়ে এসেছেন। যারা ভর্তি আছেন তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকের উন্নতি হওয়ায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আবার কেউ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার বিকাল পর্যন্ত ছয়জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় হোসেন আহমেদ নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হোসেনের স্ত্রী ও স্বজনরা জানায়, তিনি চট্টগ্রামে ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। গত ১০ দিন ধরে তার প্রচণ্ড জ্বর। বৃহস্পতিবার তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সবাই ঢাকা থেকে এসেছে। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ বলেন, চিকিৎসাধীন ২২ জন শঙ্কামুক্ত। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা বিশেষ যত্ন নিচ্ছি।
কিশোরগঞ্জ জেলায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৩ জন এবং কিশোরগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে আরো ছয়জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত ২২ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর মনে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের লোকজন বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ে নারায়ণগঞ্জে উদ্বেগ থাকলেও আমরা এর নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছি।
রাজশাহী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ক্রমেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন এ রোগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত।
জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের অধিকাংশই ঢাকাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। গতকাল হাসপাতালের ডেঙ্গু কর্নারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৩৬ জন রোগী ভর্তি আছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের অনেকেই ঢাকায় থাকত কিংবা ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিল। আর এতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তারা।
নোয়াখালী শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত নোয়াখালীতে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নোয়াখালীতে জেনারেল হাসপাতালসহ কোনো সরকারি হাসপাতালেই ডেঙ্গু পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিরুপায় হয়ে ডেঙ্গু রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গত চার দিনে ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে ১০ জন রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে তাদের সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে জ্বর নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

Sharing is caring!