ছবি: সংগৃহিত ফাইল ফটো 

 

বিশেষ প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে মাসে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজরা।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০ চাঁদা আদায়কারীকে গ্রেফতার করছে।

তবে ধরা পড়েনি এর মূল হোতাদের কেউ।

জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র ওসি কামরুজ্জামান শিকদার জানান, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের নির্দেশে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেগমগঞ্জ ও সদরের বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি-অটোরিক্সা থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ১০জনকে  গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে আদায় করা নগদ টাকা, অবৈধ চাঁদার রশিদ (যাতে কোন সীল বা কারো স্বাক্ষর নেই) জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আবদুর রহিম জানান, তারা নেতাদের নির্দেশে সোনাপুর স্ট্যান্ড, মাইজদী ইসলামিয়া সড়ক মোড়, সুধারাম থানার সামনে, মাইজদী বাজার, বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় প্রতি সিএনজি অটোরিক্সা থেকে ১০টাকা করে আদায় করছে এবং রাতেই নেতাদের কাছে রশিদ হিসাব করে টাকা বুঝিয়ে দিলে তারা ৩/৪ শত টাকা করে বেতন পান। সে আরো জানায় এটা ছাড়াও রাস্তায় ৩ থেকে ৪ ভাবে চাঁদা আদায় করা হয়।

পৌর টোল, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল, মালিক কল্যান তহবিল, হাইওয়ে পুলিশের চাঁদা ও বীট চাঁদা।

এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা হয়ে চৌমুহনীর করিমপুর সড়ক এবং পূর্ব বাজার পর্যন্ত ৫টি পয়েন্টে ১০ টাকা করে হিসেব করলে এ ১৬ হাজার সিএনজি  থেকে প্রতিদিন ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা উঠে।

যাহা মাসে এ চাঁদার টাকার পরিমান দাঁড়ায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ডিবির হাতে গ্রেফতারকৃত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক চাঁদা আদায়কারী জানায়, সোনাপুর, চৌমুহনী, মাইজদী বাজার এবং সুধারাম থানার সামনে থেকে আদায়কৃত টাকা রাতে ওই স্পটের নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আদায়কারীদের নির্ধারিত বেতন ধরিয়ে দিয়ে নেতারা লাখ লাখ টাকা খায়। সে আরো জানায়, এ চাঁদা তুলে নেতারা কোটিপতি হলেও তারা ডাল-ভাত খেয়েও বাঁচতে কষ্ট হয়।

নোয়াখালী জেলা  পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এসব চাঁদাবাজির খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি সবখোঁজ খবর নিয়েই ডিবিকে অভিযানে পাঠিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তবে পৌরসভার  টার্মিনাল থাকলে টার্মিনালের ভিতর থেকে তারা পৌর টোল আদায় করতে পারবে কিন্তু  সড়কে যানবাহন থেকে কোন চাঁদায় আদায় করতে দেয়া হবে না।

Sharing is caring!