মো. সেলিম:

নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের ল²ীনারায়ণপুর গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী (০৮) কে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোশারফ হোসেন কিরন সুধারাম থানায় অভিযোগ করলে এসআই বিপুল কুমার ঘোষ ঘটনার তদন্ত করে স্থানীয় সাবেক মেম্বার ছায়দুল হককে শুক্রবার বাদ জুম্মা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার মিমাংসার নির্দেশ দেন।

ভিকটিম স্থানীয় মোশারফ হোসেন কিরনের শিশু কন্যা ও নিত্যনন্দনপুর নুরানী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

ভিকটিমের মাতা আলেয়া বেগম জানান সাবেক মেম্বার ছায়দুল হকের বাড়ির আমাদের প্রতিবেশী আবদুল জলিল হুক্কুর ছেলে মিরণ (২৭) কিছুদিন পূর্বে আমার শিশু কন্যাকে চকলেট হাতে দিয়ে খেলার অযুহাতে বাড়ির একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর সে বিভিন্ন সময়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রতিবেশী আবদুল খালেকের ছেলে সাহেদ ও মিরণের ছোট ভাই মিজান টের পেয়ে তারাও ঘটনাকে লোকজনকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

অবশেষে বুধবার দুপুরে সাহেদ ভিকটিমকে পুনরায় ধর্ষণ করলে সন্ধ্যায় পেট ব্যাথা শুরু হলে ভিকটিমের মায়ের জিজ্ঞাসায় সে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানান। ভিকটিম জানান, প্রথমে মিরণ কাক্কু আমাকে চকলেট দিবে বলে ওই ভাঙ্গা ঘরে নিয়ে খারাপ কাজ করে। এরপর সে মেলা দিন আমার সাথে কাতুকুতু খেলবে বলে খারাপ কাজ করে। পরে সাহেদ কাক্কু ও মিজান ক্কাকুও ওটা দেখে আমাকে ভয় দেখিয়ে খারাপ কাজ করে। তারা বলেছেন কাউকে জানালে আমাকে মেরে ফেলবে, তাই কাউকে বলতে ভয় লাগতো।

আলেয়া বেগম জানান, ঘটনা জানার পর রাতেই ভিকটিমের বাবা সুধারাম থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। সুধারাম থানার এসআই বিপুল কুমার ঘোষ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় সাবেক মেম্বার ছায়দুল হককে বিষয়টি সালিশ বৈঠকে মিমাংসা করতে বলেন।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা গেলে সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ছায়দুল হক ছাদু বলেন এখানে আপনাদের কাজ কি? বিষয়টি সালিশ বৈঠকে মিমাংসা করতে পুলিশ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনারা এ ব্যাপারে আপনারা বাড়াবাড়ি করবেন না।

কাদির হানিফ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহিম জানান, আমি ঘটনার বিষয়ে জানি। ভিকটিমের পরিবারকে থানায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি। অতি-উৎসাহী কেউ ঘটনার ধামা-ছাপা দিতে চাইলে পুলিশ অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও তদন্তকারী এসআই বিপুল কুমার ঘোষের সাথে কথা বলা যায়নি। সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!