নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক থেকে আটক ৪০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া আক্তারের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফরিদ উদ্দিন ও এসআই ইশতিয়াক আহমেদ তানবীর বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন বেগমগঞ্জ থানার ৭নং ওয়ার্ড অন্ততপুর গ্রামের মির্জা আনোয়ার হাউসে জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা গোপন বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। দ্রুত ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে একলাশপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির গিয়াস উদ্দিন ও সেক্রেটারি মো.আলাউদ্দিন মিজিসহ ৪০ জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের থেকে ব্যানার, লিফলেট ও বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেন- তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার জন্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। পরবর্তীতে উপপরিদর্শক এসআই ইশতিয়াক আহাম্মেদ তানভীর বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে আসামিদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া আক্তারের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শাহ আলম বলেন, নোয়াখালীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া আক্তারের নির্দেশে ৪০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ইসহাক খন্দকার বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অনন্তপুর এলাকায় আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা একটি ঘরোয়া সাধারণ সভা করছিল। এতে একলাশপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত হয়ে বৈঠক করছিলেন। পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ার্ড পর্যায়ের ওই বৈঠকস্থল ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে মামলা দেয়।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। এটা কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। আমাদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে। উন্মুক্ত পরিবেশে প্রোগ্রামটা হয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ হানা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়াতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।

Sharing is caring!