নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একটি অসুস্থ সজারুকে  চিকিৎসা শেষে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সংলগ্ন হাবিবিয়া রেঞ্জের সংর‌ক্ষিত ব‌নের প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।
.
জানা যায়, গত ২৬ জুলাই সকালে সোনাইমুড়ী উপজেলার বারইপাড়া গ্রাম থেকে বেগমগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা এ.এস.এম সামছুদ্দিন আহমেদ সজারুটিকে উদ্ধার করেন। অসুস্থ থাকায় চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে অবমুক্ত করা হয়। এসময় হাবিবিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবিয়া সদর বিটের বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনসহ হাবিবিয়া রেঞ্জের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
.
বেগমগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা এ.এস.এম সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা মহোদয়ের নিনির্দেশনায় ২৬ জুলাই খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় এক যুবকের কাছে থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা প্রদান করি। সজারু একটি নিরীহ তৃণভোজী প্রাণী। এটি কারও কোনো ক্ষতি করে না। প্রকৃতিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদ্ধারকৃত প্রজাতিটিকে দেশীয় সজারু (Indian Crested Porcupine) বলে।
.
সুবর্ণচর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন,
মানুষ বন জঙ্গল কেটে তারা বন্য প্রানীদের বসতিকে নষ্ট করে ফেলছে এবং যার ফলে বন্য প্রাণীরা আজকে মানুষদের বসতির মধ্যে প্রবেশ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই মানবজাতিকে তাদের বাসস্থানকে যদি সংরক্ষণ করে থাকে তাহলে বন্যপ্রাণীরা সুরক্ষিত থাকবে তারসাথে আমরাও সুরক্ষিত থাকব। শুধু বাসস্থানই নয় বন্য প্রানীদের শিকার করাও বন্ধ করতে হবে।  বন্যপ্রাণী রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কাম্য।
.
দেশে সজারু ‘খুবই বিপন্ন’ জানিয়ে নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা বলেন,সজারু বৃহৎ ইঁদুরজাতীয় নিশাচর প্রাণী। এরা মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাসস্থান বানায়। তৃণভোজী জীব হিসেবে প্রাণীটি ঘাস, লতা-পাতা, ফলমূল, শস্যদানা ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে। ব্যাপক নিধন ও বাসস্থান ধ্বংসই এদের বিপন্ন হওয়ার প্রধান কারণ। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি শিকার, হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
এইচ/আর

Sharing is caring!