বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রিয়নেতা আবদুল কাদের মির্জার গাম্ভীর্যপূর্ণ নেতৃত্বে সম্মোহিত হয়েই রাজনীতি শুরু করেছিলাম। স্কুল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক রাজনীতির যাত্রা, সেই থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ রাজনীতি করে আসছি- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য, রাজনীতি করছি বঙ্গবন্ধু আদর্শে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবদুল কাদের মির্জার কর্মী হয়ে।

 

.

নীতি-আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুৎ হইনি। সর্বদা নিজের অবস্থান থেকে নিজ দায়িত্বপালন করে আসছি নিরন্তর ভাবে। দীর্ঘ এই পথচলায় নেতা নয় কর্মী হয়েই নিজেকে উৎসর্গ করতে চেয়েছি। তাইতো দলের সভা-সমাবেশ, আন্দোলন-সংগ্রামে, বর্ণাঢ্য র‍্যালী সহ দলীয় সকল কর্মযজ্ঞে, সকল আয়োজনের সিংহভাগ কাজই করতাম আমি দায়িত্ব নিয়ে।

.

যদিও এসব কাজ করে কখনো ক্রেডিট নেয়ার ধান্দায় ছিলাম না তাই হয়তো অনেকের কাছে এই একথাগুলো এখন শুনতে বিভ্রান্তিকর লাগবে। তবে আমাদের নেতারা অনেকে জানে, যারা আমার কাজের কৃতিত্ব নিজের করে নিতো তারা তো জানেই। অনেকে বর্তমান রাজনীতির বিরোধী শিবিরে অবস্থান করছেন তারাও জানেন হামিদ দলের জন্য কি নিবেদন করেছে যদিও পাক্ষপাতিত্বের কারণে হামিদের সমালোচনা করে যাচ্ছেন…!

 

.

আমার নেতা আবদুল কাদের মির্জা সব সময় বলে “যে কাজ করে সেই নেতা” আমি নেতৃত্ব চাইনি কখনো, তবুও আমার নেতার এই কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করতাম কখনো আনুষ্ঠানিক কোন পদপদবী চাইনি। তাও দল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে পদাস্থিত করে আমাকে কৃতজ্ঞ করেছিল আমি স্কুল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম অতপর স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই।

 

.

এর পর পৌরসভা ছাত্রলীগের সাহিত্য- সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম দীর্ঘ সময়- সে সময় বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগ সহ কলেজ ছাত্রলীগের শাখা সমূহের কমিটিগুলো করা থেকে শুরু করে দলীয় প্রায় সকল কাজ আমার মাধ্যমেই ছিল। তখন ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার মতোও কাউকে পাওয়া যেতো না। দিনের পর দিন পরিবার-পরিজন, নিজের পড়ালেখা সব উৎসর্গ করে সারাক্ষণ ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থন তৈরি করতে কাজ করতাম। ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও এসব জানেন।

 

.

 

আমার কাজে মুগ্ধ হয়ে আমাকে ছাত্রলীগের নীতিনির্ধারকরা পৌরসভা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিও নির্বাচিত করেছেন। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন,ওয়ার্ড,কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে মাঠপর্যায় থেকে কাজ করে নেতৃবৃন্দকে সকল সি.ভি যাচাই-বাচাই করে দেয়া সহ সংশ্লিষ্ঠ সকল কাজ করাতম আমি। পরবর্তীতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি- ২০১৪ সালের নির্বাচনকালীন সময়ে জামাত-বি.এন.পির তাণ্ডব মোকাবেলায় রাজপথে থেকে সরাসরি আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলাম স্বক্রীয় ভাবে, তখন জামাত-বিএনপির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে আমি আহতও হয়েছি। হাতে গনাকয়েকজন যদি রাজপথে থাকতো একজন আমি হামিদ ছিলাম।

 

.

২০০৯ সালের একটি ঘটনাও মনে পড়ে- জামাত-বি.এন.পি যখন মিছিল নিয়ে বাজারে উঠছে তখন অনেকে নেতাকে পার্টি অফিসে রেখে চলে যায় তখন নেতার পাশে হাতে গনা কয়েকজন ছিল তার মাঝে একজন আমিও ছিলাম; এরকম অসংখ্য ঘটনা আছে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিজের সর্বোস্ব দিয়ে কাজ করেছি। দলীয় সিদ্ধান্তের সকল কর্মসূচীতে দ্বিধাহীন ভাবে কাজ করেছি, কখনো ভয় করিনি দলের জন্য কাজ করতে। এখন যেমন অপশক্তিদের পথেরকাঁটা তখন তেমন বি.এন.পি-জামাতের চোখের কাঁটা ছিলাম।

 

.

দলের প্রতি ভালোবাসা দেখে প্রিয়নেতা আবদুল কাদের মির্জা দায়িত্ব দিয়েছে পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব দিয়েছেন এবং বর্তমানে পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বরত আছি। আপনারা যারা আজ অতীত পদের বড়াই করেন জোর গলায় কথা বলেন- আপনাদের এই দায়িত্বগুলোও কিন্তু আবদুল কাদের মির্জারই দেয়া।

.

.

আমি ছাত্রলীগ তথা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য শৈশব থেকে নিজেকে উৎসর্গ করেছি। কখনো নীতির সাথে আপোষ করিনি। আমার কর্মদক্ষতায় অনেকের অনৈতিক স্বার্থ হাছিলে বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় তারা আজ আমার সমালোচনা করতে মিথ্যা- বানোয়াট কতগুলো তথ্য উপস্থাপন করে যাচ্ছে। ভাই! সমালোচনা করবেন ভালো কথা, কিন্তু আগে ইতিহাসটা জানুন, আমি উড়ে এসে জুড়ে বসিনি- জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছি আওয়ামীলীগের জন্য। দীর্ঘ ১৯ বছরের রাজনীতিতে ১৯ সেকেন্ডেও দলের বাহিরে যাইনি- আজীবন আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাবো এতে কোন সন্দেহ নেই।

.

.

কাজ করতে গিয়ে একটি মহলের শত্রু হবো এটা স্বাভাবিক তাই আমি আপনাদের এসব অপপ্রচার ভিত্তিহীন বানোয়াট প্রচারণাকে আমি কিছুই মনে করি না। একটা কথা জেনে রাখবেন সকলে আমি কাজ করে যাবো, আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে, প্রিয় নেতা আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো, কোন বাঁধাই আমাকে থামাতে পারবে না। সকলে দোয়া করবেন আমার জন্য। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

.

 

লেখক- হামিদ উল্যাহ হামিদ
সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভা যুবলীগ, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী।

Sharing is caring!