বিশেষ প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজ পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহা দুরের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন ভাংচুর,হত্যার হুমকি সহ নানা অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।২৫শে এপ্রিল সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটের সময় নোয়াখালী প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং মিছিল শেষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
.
নেয়াজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,গত ০১/০৬/১৯৮৮ সালে সাবেক চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীনের পিতা আবদুল সালাম,নুর মোহাম্মদ ও ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি হিসেবে জন সাধারনের সেবা করার প্রয়াসে ৭৪২১নং ছাপকবলা দলিল মুলে ১০ শতাংশ সম্পত্তি স্হানীয় বোর্ড অফিসের নামে অর্থাৎ সচিব,স্হানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে প্রদান করে,যা বর্তমান বি,এস জরিপি খতিয়ানে স্হানীয় সরকারের নামে রেকর্ড বর্তমান হয়।গত ২২/০৩/২০২২ সকাল ১০ ঘটিকায় স্হানীয় চেয়ারম্যান বাহাদুর কাউকে কিছু না জানিয়ে বোর্ড অফিসের ভবন জোরপূর্বক ভাংচুর করে এবং অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।কিন্তু স্হানীয় লোকজনের তোপের মুখে পড়ে তিনি জানান স্হানীয় সরকারের নামের ইউনিয়ন পরিষদের উক্ত সম্পত্তিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পানির ট্যাংক বসাবে এবং তার নির্দেশেই এটি ভাংচুর ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।কিন্তু চেয়ারম্যান স্হানীয় সরকারের নামে রেকর্ডকৃত সম্পত্তি আইনগতভাবে হস্তান্তর করতে পারেনা।এরপর চেয়ারম্যান বাহাদুর ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী সহ পুরাতন বোর্ড অফিসটি সম্পুর্ন ভাংচুর করে নিয়ে যায়।
.
এরপর ১৬/০৪/২০২২ তারিখে চেয়ারম্যান বাহাদুর সবার মতামত উপেক্ষা করে একজন ইন্জিনিয়ার এনে পানির ট্যাংক বসাতে চাইলে সাধারণ জনগন প্রতিরোধ করতে চাইলে তিনি তার পালিত সন্ত্রাসী দিয়ে জনগনের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়।এতে অনেকেই আহত হয়।একপর্যায়ে কেউ প্রতিরোধ করলে বা আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষকে জানালে তাকে হত্যা ও গুম করে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
.
মানববন্ধনে নেয়াজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং বোর্ড অফিসের নির্ধারিত স্থানে নতুন করে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মানের দাবি জানান।
.
এ বিষয়ে নেয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Sharing is caring!