মো. সেলিম:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সংখ্যালঘু পরিবারের পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী (১৩) কে শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রভাবশালী স্থানীয় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

গত সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের পূর্ব মুছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পাশের ভবনে দ্বিতীয় তলায় ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিলন পূর্ব মুছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এবং একই এলাকার পান কাজী ব্যাপারী বাড়ির মো. ইউছুফ’র ছেলে।

উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল ফাররাহ মিলন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম আমাকে ফোনে গতকাল জানিয়েছে এক ছাত্রীর অভিভাবক বিদ্যালয়ে এসে সহকারি শিক্ষক মো.আলমগীর’র কাছে অভিযোগ করেছেন মিলন স্যার এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে গেলে তাকে ডিস্ট্রার্ব করেছেন। তিনি আরো জানান, আজ ওই ছাত্রীর অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা ছিল, তবে আজও তারা লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি।

সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে সহকর্মি শিক্ষকের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সহকারি শিক্ষক আলমগীর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, ওই শিক্ষক স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় শ্লীলতাহানির শিকার সংখ্যালঘু ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার হুমকি ধমকির মুখে ভয়ে ঘটনার ১দিন পরে বলছে, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেনি, প্রাইভেট পড়তে গেলে তাকে মারধর করে। অভিভাবক মহল এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ওই ছাত্রীর চাচা বিধান চন্দ্র দাশ বলেন, যে টুকু ঘটেছে তার জন্য আমরা শিক্ষকের কাছে মৌখিকভাবে বিচার দিয়েছি, লিখিত অভিযোগ দেয়ার মতো কিছু ঘটেনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আহছান উল্যাহ ভুট্টু বলেন, ওই ছাত্রী আমার সামনে বলেছে শিক্ষক তার গায়ে হাত দিয়েছে। এখন অভিযোগ নাকচ করলে আমাদের কিছু করার নেই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফয়সেল আহমদ বলেন, মৌখিক ভাবে গণমাধ্যম কর্মিদের থেকে আমি এ ঘঁনার বিষয়ে শুনেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উক্ত ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনার কথা শুনেছি। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Sharing is caring!