মো. সেলিম:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জাহিদুল ইসলাম (১৩), নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ইদ্রিছিয়া আলিম মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার আবদুল হক সারেং বাড়ির কবির আহম্মদ’র ছেলে।

জানা যায়, গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইদ্রিছিয়া আলিম মাদরাসার শিক্ষক আবদুল মান্নান ক্লাসে ওই ছাত্রকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। পরে ওই ছাত্রের অভিভাবক একদিন পরে আঁচ করতে পারে ছেলের হাত ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়, দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ওই ছাত্রের চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষিতে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয় একাধিক শিক্ষকসহ প্রভাবশালী একটি মহল।

ছাত্রের অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, সামনে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা এ জন্য শিক্ষক রাগবাণী দিয়ে মারধর করে বাম হাত ভেঙ্গে পেলে। পরে ওই শিক্ষকসহ একাধিক শিক্ষকের অনুরোধে আমরা গোপনে আমাদের ছেলেকে চিকিৎসা করাচ্ছি। কিন্তু ঘটনার ৮দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত শিক্ষক আজও নির্যাতনের শিকার ছাত্রকে একবারের জন্যও দেখতে আসেননি। তবে তিনি চিকিৎসার জন্য তিন হাজার টাকা দিয়ে ভালোভাবে দায় সেরেছেন। অভিযোগ রয়েছে, একই মাদারাসার আরেক শিক্ষক গত কয়েক মাস আগে ডাস্টার মেরে আরেক ছাত্রের হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল।

এ বিষয়ে ইদ্রিছিয়া আলিম মাদরাসার সুপারেনটেন্ড ফরহাদুল হাসান বলেন, ঘটনার আট দিন পর আমি সাংবাদিক এর মাধ্যমে এ ঘটনা জানতে পারি। পরে খবর নিয়ে আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে যে শিক্ষক ডাস্টার মেরে ছাত্রের হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মান্নান’র ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্ট হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একাধিক অভিভাবক জানান, কোম্পানীগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিশু শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলছে। তবে এসব ঘটনার বিচার হওয়ার দৃষ্টান্ত নেই বরং ধামাচাপা দেওয়া হয় সজ্ঞানে। অভিভাবক মহল শিশু শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!