এনকে টিভি প্রতিবেদক:

 

ফেনী-কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিআইজি-এসপি পরিচয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ এস এম এমরানের আদালতে পিবিআইয়ের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকার খিলগাঁও থেকে তাকে আটক করে পুলিশের একটি টিম।

 

এমামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ দীর্ঘদিন যাবত ব্যক্তি ও পরিবেশ বিবেচনায় কখনো ডিআইজি, কখনো এসপির পরিচয় দেয় সে। ১৯৯১ সালে ফখরুদ্দিন সাব-ইন্সপেক্টে হিসেবে যোগ দিলেও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সে চাকরিচ্যুত হয়। ২০০০ সালে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাইকালেও গ্রেফতার হয়। তার কাছে পুলিশের পোশাক, র‌্যাংক ব্যাজ, পুলিশের স্টিকার যুক্ত প্রাইভেটকার, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিল স্বাক্ষর সম্বলিত ভুয়া নিয়োগ পত্রসহ বেশ কিছু পুলিশের সরাঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

 

প্রতারক ফখরুদ্দিন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাকুই গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার জানান, ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ দীর্ঘদিন যাবৎ ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। সর্বশেষ কুমিল্লায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক চাকরিপ্রার্থীর বাবাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির স্বাক্ষরিত একটি নকল চিঠি দেখায়। সেখানে পুলিশের আইজি ও স্বরাষ্ট্র সচিব সুপারিশ করেছেন মর্মে উল্লেখ করে। তা দেখিয়ে ওই চাকরি প্রার্থীর বাবার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবেই চাকরিসহ নানা কাজের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত সে। এ পর্যন্ত অন্তত ১১ জন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ করেছে।

 

  • এনকে টিভি/বি/এস/এম/এস

Sharing is caring!