বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী পৌর এলাকায় টাকা না দিতে পারায় মো. বাদশা (৩৫) নামে এক দিনমুজুরকে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসএস (সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস) নামের এক এনজিও’র দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
.
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের গোপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
.

এবিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিনমজুর মো. বাদশা বলেন, গত ২০২০ সালের আগস্ট মাসে এসএসএস এনজিও’র উজিয়ালপুর সদর শাখা থেকে ৩০ হাজার টাকা কিস্তি গ্রহণ করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে ৮শ’ টাকা করে ৪৬ কিস্তিতে মোট ৩৬ হাজার ৩ শ’ টাকা পরিশোধ করতে হবে। গত কয়েক মাসে কিস্তির টাকার ৮০ ভাগের বেশি টাকা পরিশোধ করেন তিনি।
.

মো. বাদশা আরও বলেন, গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন ও কিস্তি আদায়কারি গোলাম কিবরিয়া তার বাড়িতে আসেন। হাতে টাকা না থাকায় তাদের ঘরে বসতে বলেন তিনি। কিছু সময় অতিবাহিত হলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এনজিও কর্মকর্তারা। কিছু সময়ের মধ্যে টাকা আসলে দেওয়া হবে জানালে- তার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই কর্মকর্তারা।
.
দিনমজুর মো. বাদশার স্ত্রী ফাতেমা বলেন, বাকবির্তকের একপর্যায়ে আলমগীর বাদশাকে প্রথমে একটি থাপ্পড় মারলে পড়ে যান তিনি। এরপর মাটি থেকে উঠতে গেলে আবার লাথি দিয়ে পুনরায় মাটিতে ফেলে দেয় কিবরিয়া। দ্বিতীয়বার পড়ে যাওয়ায় বাম হাত ভেঙে গিয়ে পা’সহ শরীরের কয়েকটি স্থানে জখম হয় বাদশার। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিকেলে ৫টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
.
মাত্র ৮শ’ টাকার জন্য এমন হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকের স্ত্রী ফাতেমা।

.
এ বিষয়ে কথা বলতে আজ (৯ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার এসএসএস উজিয়ালপুর নোয়াখালী সদর শাখায় গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক আলমগীরকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। কিস্তি আদায়কারী গোলাম কিবরিয়া অফিসে থাকলেও এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি
.
মুঠোফোনে শাখা ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন বলেন, ওই গ্রাহক তাদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

Sharing is caring!