প্রতিবেদক

নোয়াখালীতে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে এক কিশোরী (১৩), কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জেলার
সুবর্ণচর থেকে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে জেলা শহর মাইজদীর আলদ্বীন আবাসিক হোটেলে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাতে কিশোরীকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

পরে বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত কিশোরী বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল বাতেন মুঠো ফোনে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ খোদেজা খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। সে সুবর্ণচরের চরনোঙ্গলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী। ধর্ষক জসিমকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যহত রেখেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুবর্ণচরের চর ক্লার্ক ইউনিয়নের রফিক উল্যার ছেলে জসিম উদ্দিন(৩৫) ও চর নোঙ্গলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী খোদেজা খাতুন মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরীকে এক সংসদ সদস্যের বাসায় ভালো বেতনে কাজ দেওয়ার কথা বলে জেলা শহর মাইজদী নিয়ে আসে। পরে মঙ্গলবার রাতে মেয়েটিকে নিয়ে জসিম মাইজদী শহরের হোটেল আলদ্বীনে উঠে। সেখানে জোর পূর্বক জসিম মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

আহত মেয়েটি অভিযোগ করে বলে জসিমের অনৈতিক কাজে সে রাজি না হলে তাকে মারধর করে। বুধবার ভোরে মেয়েটি হোটেল থেকে বের হয়ে (ভিকটিম) বাড়িতে চলে গিয়ে তার পরিবারকে র্ধষণের ঘটনাটি জানায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে চরজব্বার থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। জানানোর পর চরজব্বর থানা পুলিশ মেয়েটিকে সুধারাম মডেল থানায় প্রেরণ করে। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগীতা করার অভিযোগে খোদেজা খাতুনকে আটক করে এবং মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

Sharing is caring!