বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জাবেদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
.
এ ঘটনার বিচার ও জাবেদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার এবং স্বজনরা। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
.
রোববার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এসব কর্মসূচি পালন করে তারা। এতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
.
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ থেকে জানানো হয়, পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান জাবেদ ও নিহত ফাতেমা আক্তার কলি দুজনই নোয়াখালীর বাসিন্দা। জাবেদ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা এবং কলি একই উপজেলার কাদিরহানিফের বাসিন্দা। গত ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
.
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের দুই আড়াই বছর পর থেকে জাবেদ অন্য এক নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় একাধিকবার কলিকে মারধর করে জাবেদ। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক বৈঠকও হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) চট্টগ্রামের হালিশহরস্থ ভাড়া বাসায় কলিকে পিটিয়ে হত্যা করে জাবেদ ও তার সহযোগিরা। এ বিষয়ে রোববার সকালে হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কলির বাবা আহছান উল্যাহ্।
.
মানবন্ধনে স্বজনরা কলি হত্যার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জাবেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
.
হালিশহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আল-মামুন জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
.
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চট্রগ্রামের হালিশহরে নোয়াখালীর এক মেয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তাঁর স্বামীর শাস্তির দাবিতে জেলা শহর মাইজদীতে লাশ নিয়ে নিহতের স্বজনেরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।

Sharing is caring!