ইউক্রেনের কাছে ২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার চলমান আগ্রাসন মোকাবিলায় বিপুল অংকের এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির অনুমোদন করল দেশটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বুধবার ইউক্রেনের কাছে ২৮৫ মিলিয়ন ডলারের একটি অত্যাধুনিক অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট নাজামস (NASAMS) সিস্টেম এবং এ সম্পর্কিত সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আর এর মাধ্যমে রুশ হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেনের সক্ষমতা বাড়াতে চায় উত্তর আমেরিকার এই দেশটি।

ইউএস ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও বিমান হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের সক্ষমতা বাড়ানোর জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে পাওয়া এবং কার্যকরভাবে মোতায়েন করা হলে তা ইউক্রেনের জনগণকে রক্ষা করার এবং গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অবকাঠামো সুরক্ষিত করার ক্ষমতা বাড়াবে।’

সংস্থাটি আরও বলেছে, অত্যাধুনিক এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিক্রয় মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির জাতীয় নিরাপত্তা লক্ষ্যগুলোর জন্যও সহায়ক। মূলত ওয়াশিংটনের অংশীদার একটি দেশের নিরাপত্তার উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমে ইউরোপে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য এই সহায়তা একটি শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রয়ের জন্য ইউক্রেনে অতিরিক্ত মার্কিন সরকারি কর্মচারী বা ঠিকাদার নিয়োগের প্রয়োজন হবে না। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই বিক্রয় অনুমোদন করেছে এবং ডিএসসিএ বুধবার কংগ্রেসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেছে।

এএফপি বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। আর আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্র দেশ। এছাড়া যুদ্ধ শুরুর বছরখানেকের মাথায় এসে ইউক্রেনকে ট্যাংক দিয়ে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য।

তবে বুধবার যে ২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা কোনও সহায়তা নয়, বরং এটি ইউক্রেনের কাছে বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র।

অবশ্য রাশিয়ার হামলা থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং মস্কোর বাহিনীকে আকাশের নিয়ন্ত্রণ অর্জন থেকে বিরত রাখতে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রাশিয়া যখন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ করেছিল তখন ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষায় মূলত সোভিয়েত যুগের বিমান এবং ব্যাটারি ছিল।

আর এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে উল্লেখযোগ্যভাবে আন্তর্জাতিক মিত্রদের সহায়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এরই ফলশ্রুতিতে নাজামস-সহ একাধিক ডিফেন্স সিস্টেম হাতে পেয়েছে ইউক্রেন।

Sharing is caring!