এনকে টিভি ডেস্কঃ 

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, সব ধরনের লুটপাট ও অপকর্মের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষুব্দরা নুরনবী চৌধুরীর (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) ওপর হামলা করেছে। দুই দুই বার চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দলীয় পদবী ব্যবহার করে সব লুটেপুটে খেয়েছে নুর নবী চৌধুরী।

.

সোমবার দুপুর ২টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন মেয়র কাদের মির্জা।

.

তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে ৬০টি অটোরিকশার লাইসেন্স নিয়ে প্রতিটি ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করেছেন তিনি। এছাড়াও অনেককে সরকারি ঘর দেবে বলে ৫০ হাজার টাকা করে, সালিশ বাণিজ্যের নামে লাখ লাখ টাকা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার নামে অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুর্নীতিবাজ নুরনবী চৌধুরী। এজন্যই ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর ভুক্তভোগীরা হামলা করেছে।

.

কাদের মির্জা বলেন, আমাকে হত্যা করে ষড়যন্ত্রকারীরা এখানে এমপি একরাম-নিজাম হাজারীর রাজত্ব কায়েমের কাজ করছে। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলবো, আমার মতো আর কেউ দলের (আওয়ামী লীগ) জন্য এত ত্যাগ স্বীকার কেউ করেনি। এখন দল যারা করছে, বড় লোক আরও বড় লোক হচ্ছে। আর গরিবরা আরও গরিব হচ্ছে। সাংবাদিকদের মুখও এখন বন্ধ। সত্য লিখতে পারে না। কেউ অর্থের কাছে কাবু হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ ওপরের চাপের কারণে সত্য প্রকাশ করছে না।

.

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরী গুলিব্ধি হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকায় তিনি সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন।

.

 

Sharing is caring!