এনকে টিভি ডেস্ক:

 

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। উত্তর সিটি করপোরেশনে দলটি মনোনয়ন দিচ্ছে বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলামকে। আর দক্ষিণে মনোনয়ন দিচ্ছে শেখ ফজলে নূর তাপসকে, যিনি ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন উপকমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলীয়ভাবে আগামীকাল রবিবার বেলা ১১টায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিচার বিশ্লেষণ করছি, পর্যালোচনা করছি। নেত্রী নিজের সোর্স থেকেও খোঁজ নিচ্ছেন, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করতে আমাদের একটু সময় লাগছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, রবিবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডিতে সভাপতির কার্যালয়ে উভয় সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের নাম ঘোষণা হবে।

ঢাকার দুই সিটিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ২০ জন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১২ জন, দক্ষিণে আটজন। উত্তরে আতিকুল ইসলাম মনোনয়ন পাচ্ছেন এমনটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। আর দক্ষিণে মূল আলোচনায় ছিলেন বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন এবং ফজলে নূর তাপস। শেষ পর্যন্ত সাঈদ খোকনকে আওয়ামী লীগ তাপসকেই বেছে নিচ্ছে।

শেখ ফজলে নূর তাপস আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মণির ছোট ছেলে। ২০০৮ সাল থেকে তিনি ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ মণির হাতে গড়া সংগঠন যুবলীগের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন তাপসের বড় ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ।

আতিকুল ইসলাম ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত বছর ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়। ২৮ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ তাকে দ্বিতীয়বারের মতো নৌকা প্রতীক দিলো।

এদিকে বিএনপি দুই সিটিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। উত্তরে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবেন তাবিথ আউয়াল, যিনি ২০১৫ সালে আনিসুল হকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর দক্ষিণে মনোনয়ন দিয়েছে অবিভক্ত ঢাকারা সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনকে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদ হবে নির্দলীয়। তবে দলীয়ভাবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থন দেয়া হবে।

Sharing is caring!