নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় উদ্ধারকৃত জায়গার চারিদিকে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট।

আওয়ামী লীগের কার্যালয় স্থাপনের নাম করে ৫০ শতক খাস জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার মাইজদী-ঢাকা মহাসড়ক সংলগ্ন আলীপুর মৌজার ৮১ শতাংশ খাস জমি উদ্ধার করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভ দেবনাথ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ৮১ শতাংশ জায়গায় চৌমুহুনী পৌরসভা ময়লা ফেলে আসছিল। কয়েকদিন যাবৎ এ জায়গায় বালু ফেলে খুব দ্রুতগতিতে ভরাট করা হচ্ছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভ দেবনাথ। অভিযানকালে উক্ত স্থানে প্রায় ১৬০০ ঘনফুট বালু জব্দ করে পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ফিরোজ রশীদের জিম্মায় প্রদান করা হয়। এসময় বালু ভরাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকৃত জায়গার চারিদিকে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভ দেবনাথ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয় স্থাপনের নাম করে ৫০ শতক জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও বালু ফেলে দ্রুত পুরো জায়গাটি দখল করা হচ্ছিলো। আমরা পুরো জায়গা দখলমুক্ত করে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছি। সরকারি সাইনবোর্ড লাগানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জায়গা দখল করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মাণের বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Sharing is caring!