ওই তরুণী বলেন, সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে তিনি নিঝুম দ্বীপের ঘাটে পৌঁছান। এরপর ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেলে ওঠেন। ওই মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া আরও একজন পুরুষ যাত্রী ছিলেন। তাঁরা তাঁকে নিঝুম দ্বীপের মোক্তারিয়ার ঘাট থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার পূর্ব দিকে নদীর তীরে নিয়ে যান। সেখানে ওই দুজনসহ তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তাঁর স্বামীও সেখানে এসে হাজির হন এবং তাঁকে ওই তিনজনের সামনে ধর্ষণ করেন।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের নির্দেশে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই তরুণীর স্বামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হাতিয়া থানার পুলিশ জানায়, আজ বুধবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী নিঝুম দ্বীপ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ঘটনাটি মৌখিকভাবে অবহিত করেন। বিষয়টি জানার পর জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে বেলা দুইটা পর্যন্ত নিঝুম দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

ওই নারীর স্বামী ছাড়া গ্রেপ্তার অপর তিনজন হলেন নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে কলোনির মো. আক্তার (২৭), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বান্দাখালীর মাকছুদুল হকের ছেলে মো. হক সাব (৩৪) এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে কলোনির সাইদুল হকের ছেলে রাশেদ মাঝি (৪২)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিঝুম দ্বীপ থেকে বিকেলে হাতিয়া থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের আদালতে পাঠানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।

ওই তরুণীর বরাত দিয়ে হাতিয়া থানার পুলিশ জানায়, ওই তরুণী ও তাঁর স্বামী দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। চার বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বেশ কিছুদিন আগে থেকে দ্বিতীয় স্বামী তাঁকে তালাক দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিলেন। ওই নারী ধারণা করছেন, তাঁকে তালাক দেওয়ার রাস্তা তৈরি করতেই স্বামীর সহায়তায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম   বলেন, আজ সকালে ওই নারী প্রথমে নিঝুম দ্বীপ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। সেখান থেকে তাঁকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি পুলিশ সুপারকে তা জানান। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে পুলিশ। বেলা দুইটার মধ্যে অভিযুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। এ ঘটনায় রাতে থানায় ওই নারী বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

ওসি আরও বলেন, নির্যাতনের শিকার নারীকে  স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

Sharing is caring!