আন্তর্জাতিক, নোয়াখালী, বেগমগঞ্জ, সারা বাংলা | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
মো: সেলিম:
দক্ষিণ আফ্রিকার পাশের দেশ মোজাম্বিকের মুকুবা শহরের পাশে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় আরাফাত (২০) ও আল-আমিন (২২) নামে দুই সহোদরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থাণীয় সময় দুপুর এক টার সময় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত দুই সহোদরের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নেরর চার নং ওয়ার্ডের পাটোয়ারি বাড়ি। তাদের বাবার নাম সালেহ আহম্মেদ। দুই সহোদরের এক সাথে মর্মান্তিক মৃত্যুতে গ্রামের বাড়ীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । পরিবারের স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
এ ঘটনায় দুই মোজাম্বিক নাগিরক সহ মোট চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং আরো তিন বাংলাদেশী মারাত্বক আহত হয়।
শুক্রবার বিকেলে নিহত দুই সহদরের গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম এক সাথে মর্মান্তিক মৃত্যুতে গ্রামের বাড়ীসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
নিহতের স্বজনরা জানান, হতদিরদ্র মোহাম্মদ হোসেন দিনমজুরের কাজ করেন। প্রায় তিন বছর আগে জমি জমা বিক্রয় ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ করে বড় ছেলে হাছানকে দক্ষিন আফ্রিকায় পাঠান। সে বড় ছেলে কিছু টাকা জোগাড় করে এবং বাকী টাকা গ্রামের ব্যাংক থেকে ঋণ করে বেকার দুই ভাই আরাফাত ও আলামিনকে দক্ষিন আফ্রিকায় নেয়ার জন্য দালালকে দেয়। দালালের মাধ্যমে গত ৩০ তারিখ এক ভাই প্রথমে দুবাই যায় এবং ১৩ তারিখ আরো এক ভাই দুবাই যায়। সেখান থেকে দুই ভাই সহ আরো কয়েকজনকে সড়ক পথে প্রথমে কেনিয়া ও পরে মোজাম্বিক হয়ে দক্ষিন আফ্রিকায় নেয়ার কথা ছিল। কিন্তুু বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পথে মোজাম্বিকের মুকুর নামকস্থানে তাদের বহনকারী গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটলে দুই সহোদর সহ আরো চারজন নিহত এবং মেহেদী হাছান, হুমায়ুন কবির ও ইকবাল হোসেন নামে তিন জন আহত হন। আহতের মধ্যে ইকবাল হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক।
নিহত দুই জনের কাছ থেকে পাওয়া পাসপোর্ট দেখে স্থাণীয় বাংলাদেশী পরিচিয় নিশ্চিত হন এবং গ্রামের বাড়ীতে খবর দেন। রাত একটার সময় তাদের মোজাম্বিকের মকুবা এলাকায় দাফন করা হয়।
Leave a Reply