নির্ধারিত দিল্লি সফর স্থগিত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। চারদিনের সফরে আজ সোমবার তার দিল্লী যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে এ সফর স্থগিত হলেও কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে তা স্বীকার করতে চাননি।

২ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত স্পিকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের দিল্লি থাকার কথা ছিল। কিন্তু সফরের একদিন আগে রোববার অনিবার্য কারণ দেখিয়ে আকস্মিকভাবে এ সফর স্থগিত করা হলো।

সফর স্থগিতের বিষয়ে শিরীন শারমিন চৌধুরী রোববার জানান, ভারতের লোকসভার নতুন স্পিকার ও রাজ্যসভার স্পিকারের আমন্ত্রণে তার ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত জাতীয় কমিটির সঙ্গে সংসদ সবিচালয়ের কিছু বাড়তি দায়িত্ব পড়ায় দিল্লী সফর স্থগিত করতে হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বড় অনুষ্ঠান এবং ২২ ও ২৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন রয়েছে। সব মিলিয়ে ২৬ মার্চের পরে দিল্লী সফরে যাবেন বলে আশা করছেন স্পিকার।

প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।

ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিতর্ক তৈরির পর এরআগে এর আগে বাংলাদেশের তিন মন্ত্রীর দিল্লি সফর বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল করা হয়। দুই মন্ত্রীর সফর স্থগিতের পর যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকও স্থগিত করে বাংলাদেশ। এরপর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ভারত সফর বাতিল করা হয়। ১৩-১৪ জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন রাইসিনা সংলাপে তার উপস্থিত থাকার কথা ছিল তার।

পরে অবশ্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চারদিনের সফরে ১৩ জানুয়ারি ভারত যান। দুই দেশের তথ্যখাতে সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে ওই সফরে যান তিনি।

এনকে টিভি ডেস্ক

Sharing is caring!