মোঃ সেলিম:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের কয়েকদিনের চলমান সংঘর্ষের জের ধরে সোনাইমুড়ি থানায় শালিসি বৈঠকের শুরুতেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওসি সহ আহত হয়েছে ১২ জন ও ৩ জনকে আটক করা হয়।

জানাযায়, গত কয়েক দিন ধরেই নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সহ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা চলেই আসছে।

গত কাল মঙ্গলবার বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছামাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে বুধবার রাতে শালসি বৈঠকে ডেকে সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে বৈঠক শুরু হওয়ার সময় অন্য আরেকটি গ্রুপের ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ এসে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতাড়ি ককলেট বোমা ও গোলাগুলি শুরু করে।

এতে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছামাদ ও কনটেস্টেবল জসিম উদ্দিন সহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। একই সাথে উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবু সায়েম সহ আহত হয়েছে ১২ জন। একই সময় বিপ্লব (২৫) নামে একজন গুলিবিদ্ধও হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে ও বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে অত্র এলাকায়।

অন্য একটি সূত্র জানায় আগামী পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের একটি মহড়া প্রদর্শন করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সামাদকে একাদিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

Sharing is caring!