প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা খাসেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ২ শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) সকালে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটে। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। আহতরা হচ্ছে, শ্রাবন দাস ও প্রান্ত দাস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া নেন শিক্ষক ও ছাত্ররা। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে নির্যাতনকারী জসিম উদ্দিন এর মালিকানাধীন বিলাস টাওয়ার ভবনে ঘন্টা ব্যাপী অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শরীফ উল্লাহ ও চর জব্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে জসিম উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

চরবাটা খাসেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফেজ আহমদ জানান, সকাল ১০ টায় ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী শ্রাবন দাস ও প্রান্ত দাস সহ ৪ শিক্ষার্থী খাসের হাট বাজারের বিলাস টাওয়ারে অবস্থিত এক্সিম ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে যায়। বিলাস টাওয়ারের ৪ তলা ভবনের ছাদে ভবন মালিক জসীম উদ্দিনের কবুতর খামার রয়েছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ শেষে, ৪ বন্ধু কৌতুহল বশত: ছাদের কবুতর খামার দেখতে যায়। এসময় খামার মালিক জসীম উদ্দিন শ্রাবন দাস ও প্রান্ত দাসকে ধরে এনে কবুতর চোর সন্দেহে তাদের বেঁধে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ সময় কৌশলে অপর ২ শিক্ষার্থী পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি শিক্ষক ও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরকে জানায়। ঘটনাটি শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল সহ বিলাস টাওয়ার অবরোধ করে। এ সময় শিক্ষার্থদের সাথে স্থানীয় লোকজন ও অবরোধে অংশ নেয়। খবর পেয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম ইবনুল হাসান ইভেন সুবর্নচর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও চর জব্বার থানা পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ থেকে উদ্ধার করে জসিম উদ্দিনকে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস পেয়ে, শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়।

চর জব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, জসিম উদ্দিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে, মামলা রুজু করা হবে।

সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এএসএম ইবনুল হাসান ইভেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চরবাটা খাসেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে জসীম উদ্দিনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

Sharing is caring!