মহিউদ্দিন রাসেলঃ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কামাল উদ্দিন (৩৮) নামের এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় ওই প্রবাসীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় কামালের মৃত্যু হয়। তিনি চরওয়াপদা ৬নং ওয়ার্ড চরকাজী মোখলেস গ্রামের ওবায়দুল হক ওদু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কামাল উদ্দিনের পরিবারের সাথে জমি নিয়ে একই এলাকার মৃত সফি উল্যার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার দুপুর ২টার দিকে কামাল উদ্দিন মোটরসাইকেল নিয়ে স্থানীয় মালেকের দোকান এলাকায় তেল নেওয়ার জন্য আসেন। এসময় পিছন থেকে তার ওপর হামলা চালান সফি উল্যার ছেলে মাঈন উদ্দিন, রফিক, ইসমাইল ও রুহুল আমিনের ছেলে আবুল কালামসহ কয়েকজন। হামলাকারীরা কামালের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কামাল মাটিতে লুটে পড়লে হামলাকারী রফিক স্ক্রড্রাইভার দিয়ে কামালের চোখে আঘাত করেন। কামালকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে কালু মিয়া নামের এক জনকেও কুপিয়ে আহত করেন তারা। কামালের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন কামালকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেন। পরে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কুমিল্লায় কাছে মারা যান কামাল।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে হামলার শিকার হতে হয়। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।

চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এ হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইসমাইল ও আবুল কালাম নামের ২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Sharing is caring!