নিজেস্ব প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে চরজব্বর থানায় চারজনকে আসামী করে মামলা করা হয়। মামলা নং ০৬, তারিখঃ ১৭-০৮-২০১৯ খ্রিঃ। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে নির্যাতিতার বড় বোন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন। তারা হলেন চর তোরাব আলী গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে আলী হোসেন ওরফে হোসেন ব্যাপারী, আলী আহমেদের ছেলে মো. সোহেল, মকসুদ চৌকিদারের ছেলে চৌধুরী ও চরলক্ষী গ্রামের নুর করিমের ছেলে দিদার হোসেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নিজ বাড়ি থেকে বোনের বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্ত চারজন ওই কিশোরীর পথরোধ করে জোর পূর্বক পাশ্ববর্তী একটি খামার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তিনজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে। পরের দিন শুক্রবার দুপুরের দিকে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনজার্চ (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, গতকাল শুক্রবার ঘটনা জানার পর আলী হোসেন ওরফে হোসেন ব্যাপারী ও মো. সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। আজ শনিবার মামলা দায়েরের পর আটককৃত ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসি জানান, ধর্ষিতার ভগ্নিপতি জামাল খুব ভয়ংকর প্রকৃিতর মানুষ সে এ পর্যন্ত একাধিক বিয়ে করেছে এবং এলাকায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেনা। তার বিরুদ্ধে ধর্ষনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আমাদের ধারণা সে নিজেই ধর্ষণ করে পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্তদের ফাঁসাতে তার স্ত্রীকে বাদী করে মামলা করেছে, ঘটনার ২ দিন পার হয়ে গেলেও ধর্ষণের বিষয়ে জানে না ধর্ষিতার নিজ পিতা।

ধর্ষিতার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় আমার বড় জামাতা জামালের বাড়ীতে ছোট মেয়ে শিল্পি খাতুন গিয়েছিল । ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় আমি শুক্রবার বিকেলে মেজো মেয়েকে দেখতে চট্রগ্রাম যাই। ধর্ষণের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
শনিবার বিকাল ৪টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ধর্ষিতার বাবা তার জামাতা জামালকে ফোন দিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে এবং ঘটনার ২ দিন পার হয়ে গেলেও কেন তার মেয়েকে ধর্ষনের বিষয়ে জানানো হয়নি প্রশ্ন করলে জামাতা জামাল ফোনে তার শশুরকে ধমক দিয়ে বলেন এসব আপনার জানার বিষয় নয়, ওটা আমি দেখছি।

Sharing is caring!