মহিউদ্দিন রাসেলঃ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনস্থ চরবাটা সেন্টার বাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট মো. রেজাউলকে ডিউটি চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না পেয়ে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার সময় হাতেনাতে তুলে নিয়ে যান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার
.

গতকাল রবিবার (২৩ মে) দুপুর ১২টায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার মোড়ে জনৈক রয়েলের মালিকানাধীন ফার্মেসীতে চেম্বার করার সময় চেম্বার থেকে তাকে পাকড়াও করেন সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।
.

সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত রবিবার সকালে সেন্টার বাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট মো. রেজাউল তার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখছেন এমন অভিযোগ পেয়ে তার কর্মস্থলে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা চত্বর এলাকায় তার ব্যক্তিগত চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করলে দেখা যায় রেজাউল সেখানে ২০-২৫ জন রোগীকে সিরিয়ালে রেখে তাদের চিকিৎসাপত্র দিচ্ছেন। এসময় কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার অপরাধে তাকে চেম্বার থেকে তুলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
.

সিভিল সার্জন ড. মাসুম ইফতেখার আরো জানান, এর আগেও রেজাউলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে তাকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কবিরহাট উপজেলার চরআলগী হাসপাতালে বদলি করা হয়। সেখান থেকে তাকে বদলী করা হয় সেন্টার বাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এখন অনিয়মের শাস্তি স্বরুপ তাকে প্রাথমিকভাবে সেন্টার বাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বদলী করা হয়েছে ভাসানচরে। পরবর্তীতে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

রেজাউলসহ অনিয়মে জড়িত এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী রোগিরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,রেজাউলকে এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটি চক্র দীর্ঘ দিন সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলাতে কোন রকম শিক্ষাগত যোগ্যতা, ট্রেনিং ছাড়া ব্যাঙ্গের ছাতার মতো ফার্মেসি খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।ভূয়া চিকিৎসা ও হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে সুবর্ণচরের সচেতন নাগরিকরা জোর দাবী জানান।।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন,দুদক নোয়াখালী শাখা ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে ভুক্তভোগী রোগীদের পরিবারসহ স্হানীয় জনগন।

Sharing is caring!