এনকে টিভি ডেস্ক রিপোর্ট:

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নতমানের আশ্রয় শিবির নির্মাণের জমি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জাতিসংঘের চলমান ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর : বারনামা, আনাদলু।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বর্তমান বিশ্বের একটি নৃশংসতম অধ্যায়। এই অবস্থায় বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তুর্কি সরকার তার ‘উচ্চ প্রশংসা’ করে। এতো বিপুল সংখ্যায় শরণার্থী চাপ মোকাবেলার জন্যেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য আমরা জমি দিয়ে সেখানে উন্নতমানের আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছি। এটা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শরণার্থী শিবিরে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশেরও উচিৎ রোহিঙ্গাদের উন্নত আবাসনের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং উগ্র বৌদ্ধ মিলিশিয়াদের হাতে ব্যাপক গণহত্যা এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। যাদের অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘নির্যাতিত জনতা’ আখ্যান দিয়েছে খোদ জাতিসংঘ। এরপরেও সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে ঘিরে সন্ত্রাসবাদের মাথাচাড়া দেয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের জন্য বড় নিরাপত্তা হুমকির কারণ হয়ে উঠেছে, স্থানীয় গণমাধ্যম এবং সরকারের ভাষ্য অন্তত অনেকটাই তাই।

এই অবস্থায় বাংলাদেশের দায়িত্বভার লাঘবে বিশ্ব সম্প্রদায় যৎসামান্য ভূমিকা রেখেছে এবং তাদের আরও বেশি অবদান রাখা উচিৎ বলে জানিয়েছেন তুর্কি মন্ত্রী।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আবাসন নিয়ে নিরাপত্তা এবং তাদের নিরাপত্তাবিধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি অবদান রাখতে হবে। এই সংকটের শুরু থেকেই তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা দেয়াসহ বাংলাদেশের পক্ষেও সমর্থন দিয়েছে। মিয়ানমারকে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিরাপত্তা এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলে ফেরার উদ্যোগ নিতে হবে, বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Sharing is caring!