এনকে টিভি ডেস্ক:

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাবা—
‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, চক্রান্তেরও অবসান হবে’
…………………….
গণমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলতে পারবেন না এবং বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় থাকবেন— এই শর্তে জামিন পেলেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) হাইকোর্ট থেকে তিনি এই শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন।
মিন্নির জামিন প্রশ্নে এক সপ্তাহ আগে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়।
মিন্নির জামিন হওয়ার পর আদালতে উপস্থিত মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর গণমাধ্যমকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, চক্রান্তেরও অবসান হবে।’
২৮ আগস্ট (বুধবার) আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন প্রশ্নে জারিকৃত রুলের ওপর হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
জামিন আদেশ দেয়া কালে ব্যাখ্যা দিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারক, ‘‘এজাহারে আসামির নাম উল্লেখ না থাকা, গ্রেফতারের আগে দীর্ঘ সময় মিন্নিকে পুলিশ লাইনসে আটক রাখা এবং গ্রেফতারের প্রক্রিয়া; আদালতে হাজির করে রিমান্ড শুনানির সময় তার আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ না পাওয়া; ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক লিপিবদ্ধ করার আগেই আসামির দোষ স্বীকার সম্পর্কিত জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্য; তদন্তকারী কর্মকর্তার মতে মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে সুতরাং আসামি কর্তৃক তদন্ত প্রভাবিত করার কোনও সুযোগ না থাকায়; সর্বোপরি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮, ৯৭ ধারার ব্যতিক্রম অর্থাৎ আসামি একজন নারী- এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে তাকে জামিন দেয়া ন্যায়সঙ্গত মনে করছি এবং জারি করা রুলটি আমরা যথাযথ ঘোষণা করলাম।’’
গত ২৬ জুন (বুধবার) সকালে প্রকাশ্যে দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।যার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে সাড়া দেশে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শাকে। কিন্তু আয়শার শ্বশুর মামলার ১৮ দিন পর গত ১৩ জুলাই (শনিবার) এই হত্যাকাণ্ডে মিন্নি জড়িত এমন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করার পর মামলাটির তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়।
পরবর্তীতে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয় মিন্নিকে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ২ জুলাই (মঙ্গলবার) এই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

সূত্র: দৈনিক জাগরণ

Sharing is caring!