আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিজ বাসা থেকে নতুন মাদক এলএসডি, আইস ও বিদেশি মদসহ আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। আটকের পর তাকে র‍্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর তাকে থাকতে হয় সেখানেই।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি জানান, পরীমণিকে আটকের পর র‍্যাব সদরদফতরে রাখা হয়েছে।

র‍্যাবের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আটক পরীমণির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে র‍্যাব। প্রমাণ পেলে সেগুলোর জন্যও পৃথক মামলা দেওয়া হবে।

এছাড়া পরীমণির করা ধর্ষণচেষ্টার মামলায় ১৫ দিন কারাগারে থাকা বোট ক্লাবের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদও তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বনানী থানা সূত্রে জানা যায়, র‍্যাব সদস্যরা মামলা দিলে ও থানায় হস্তান্তর করলে পরীমণিকে সেসব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজই আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে পরীমণির বাসায় অভিযানে যায় র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। এ সময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমণি বিষয়টি সবাইকে জানান। তিনি বলেন, অজ্ঞাত বিভিন্ন পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি বাসার বাইরে থেকে কলিং বেল দিয়ে দরজা খুলতে বলছে। আমি ভয় পাচ্ছি।

তিনি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতদের কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র‍্যাব তাদের পরিচয় দিলেও ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না তিনি। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এরপর র‍্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢোকেন ও তল্লাশি শুরু করেন।

গত ৯ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি নিজেই। পরে ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

Sharing is caring!