জিহাদ সুলতান: দেশের পেঁয়াজের বাজারে ভারতের একচেটিয়া দখলদারির প্রভাব কমাতে নতুন উৎস খুঁজছে আমদানিকারকেরা। এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করছে। অন্যদিকে মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবছে আমদানিকারকেরা।
সূত্রমতে, আগামী মাসের শুরুর দিকে ঢাকায় আসতে পারে মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজের দু-একটি চালান। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এসব পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম হবে। ফলে বাজারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যেতে পারে।
কিন্তু মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসলেও তা বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে এক আমদানিকারক জানান, বাসাবাড়িতে ততোটা নাও চলতে পারে। তবে, ছাত্রাবাস, হোটেল, রেস্তোরাঁর মতো যায়গায় এ পেঁয়াজ ভালোই সাড়া পাবে।
এদিকে পেঁয়াজের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে তৃতীয় দফা সোমবার বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যেখানে বলা হয়েছে ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শীগ্রই মূল্য কমে আসবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে ২৪ লাখ টনের মতো পেঁয়াজের চাহিদা আছে। অপরদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, উৎপাদন ২৩ লাখ টনের মতো। এর ৩০ শতাংশ সংরক্ষণকালে পচে যায়। সব মিলিয়ে বড় একটি অংশের জন্য আমদানি নির্ভরতা থাকেই।

Sharing is caring!