মোহাম্মদ শহিদঃ 
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন।
.
শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বসুরহাট পৌরসভা রুপালী চত্ত্বরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
.
সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত মেয়র কাদের মির্জা বলেন, গতকালের হামলার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি করছি। আজকে আমার সমর্থকদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আমি দাবি না আদায় পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
.
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এ আক্রমন সম্ভব নয়। এজন্য আমি মামলায় নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও পরিদর্শক (তদন্ত) কেও আসামী করবো। এছাড়া ফেনীর নিজাম হাজারী এমপি, নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, ফেনী পৌরসভার মেয়র স্বপন মিয়াজী, দাগনভুঞা উপজেলার চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপন, নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান, সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলায়েত হোসেন, সেতুমন্ত্রীর এপিএস মহিতুল, পিএ আবদুল মতিন ও পিআরও নাছেরকেও এ মামলায় আসামী করা হবে।
.
এর পর তিনি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় পুরো বসুরহাট পৌরসভায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
.
এর আগে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী পরীক্ষা থাকায় আজকের হরতাল শিথিল করে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত করা হয়।
.
কোম্পানিগঞ্জ থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার এএসআই জহির  বলেন,  কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে কাদের মির্জার সমর্থকরা বিভিন্ন সড়কে মারমুখী ভূমিকায় অবস্থান করছে। হরতালে সহিংসতা ঠেকাতে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়সমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Sharing is caring!