মোহাম্মদ শহিদ 

বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী, নোয়াখালীর কৃতি সন্তান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদদের অন্তীম ইচ্ছানুযায়ী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মানিকপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত করা হবে।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালীর ৪ আসনের সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ শাহজাহান।

 

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টায় সংসদ প্লাজা, ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ও বেলা ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জানাজার পর এখানকার মাটি ও মানুষের নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম জানাযা দুপুর ২ টায় কবিরহাট সরকারি কলেজ মাঠে, বিকেল সাড়ে ৪টায়
জানাজা হবে উনার প্রিয় ক্যাম্পাস বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে এবং নিজ গ্রাম মানিকপুরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ৬ষ্ঠ জানাজা শেষে বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও মা আম্বিয়া খাতুনের পাশে তাকে দাফন করা হবে।’

 

উল্লেখ্য, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মওদুদ আহমদকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসা নেন। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় তার হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়।

 

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। এরপর আবার ২১ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। সেখানে দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থেকে পরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

 

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মায়ের নাম বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ ছিলেন চতুর্থ। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও দলীয় নেতাকর্মী রেখে গেছেন।

 

এইচ/আর

Sharing is caring!