প্রতিনিধি:

ভোলায় স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামী আল আমিন (২৫) ও মঞ্জুর আলম (৩০) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
বুধবার(১৪আগস্ট) ভোর রাতে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার নদীর র্তীরবর্তী এলাকায় এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বন্দুকযুদ্ধে নিহত আল আমিন ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে, ও মঞ্জুর আলম একই এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।

বুধবার দুপুরে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি আরো বলেন, দুই গ্রুফ দস্যু ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহতরা ঈদের আগের দিন রাতে এক ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষন করেছিলো। এ ব্যাপারে তাদের নামে থানায় একটি মামলা রয়েছে। নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের মঞ্জু ও আলামিন।
পুলিশ সুপার জানায়, দস্যুদের সাথে পুলিশের ১০ মিনিট বন্দুক যুদ্ধ হয়। এতে পুলিশ ৭ বন্দুক থেকে ৫ রাউন্ড সর্টগান গুলি চালায়।

সংবাদ সম্মলনে পুলিশ সুপার আরো জানান, ভোর রাতের দিকে দুই দল জলদস্যুদের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ করে দস্যুরা গুলি চালায়। পুলিশও আত্ত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। ১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর দস্যুরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে।

বুধবার সকালে মরদেহ দুটি ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেলে ধর্ষিতার বাবা ও ভাই মরদেহ দুটিকে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আল আমিন এবং মঞ্জুর আলমের বলে সনাক্ত করেন।

খবর পেয়ে সকালে ভোলা সদর হাসপাতালে ছুটে যান সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের চরসিপলি গ্রামের বাসিন্দা গণধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা কৃষক মো. হানিফ।

এ সময় মর্গে ধর্ষকদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে খুশিতে কেঁদে ফেলেন কৃষক হানিফ। মেয়েকে ধর্ষণকারী দুই ধর্ষকের মৃত্যু নিজের চোখে দেখে কান্নাজড়িত কণ্ঠে হানিফ বলেন, মনে অনেক শ‌ান্তি পেলাম। পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ।

উল্লোখ্যঃ গত রবিবার (১১ আগস্ট) ঈদের দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চর শিপলী গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১২ বছরের এক স্কুলছাত্রী হাতে মেদেহী লাগাতে তাদের পাশের ঘরের মাহাফুজের স্ত্রী লিজা বেগমের কাছে যান। ওই সময় মাহাফুজের বাড়ির ভাড়াটিয়া আল আমিন ও মঞ্জুর আলম তাকে ডেকে বাড়ির কাঁচারি ঘরে নিয়ে হাত পা ও সুখ বেঁধে গণধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রধান আসামী আল আমিন ও মঞ্জুর আলম।

Sharing is caring!