এনকে টিভি ডেস্কঃ

ভাসানচরে বসবাসের উপযোগী করার নানামুখী উদ্যোগ এর অংশ হিসেবে এখানকার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ভাসানচরে একটি পুলিশি থানার উদ্বোধন করেন। যা নোয়াখালী জেলার ১০তম থানা।

 

 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচর থানার উদ্বোধন করতে গিয়ে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আমরা মনে করছি এখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে স্বস্তিবোধ করছে। তাই তারা দলে দলে এখানে আসতে শুরু করবে।”

 

প্রায় ৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ভানচরের আইনশৃংখলা রক্ষায় নতুন থানা উদ্বোধনের সময় তিনি আরও বলেন, ধীরে ধীরে ভাসানচর একটি সমৃদ্ধ এলাকা হবে। ভবিষ্যতে এই থানাকে প্রয়োজনীয় জনবলসহ সবদিক দিয়ে আরও শক্তিশালী করা হবে।

 

হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পুবে এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬টি মৌজা নিয়ে গঠিত ভাসানচর থানায় একজন পুলিশ পরিদর্শক (ওসি), দুইজন এসআই, চারজন এএসআই, ১৭ জন কনস্টেবলসহ মোট ২৪টি পদ রয়েছে।

 

 

ভাসানচর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ দৈর্ঘ্যে প্রায় ৯ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ৬ কিলোমিটার।

 

ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য ২০১৭ সালে এ থানার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়।

 

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর প্রশাসনিক পুণর্বিন্যাস সংক্রান্তে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৬তম সভায় ভাসানচর থানা স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

 

২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাসানচর থানার জন্য ২৪টি পদ অনুমোদন করে।

Sharing is caring!