এনকে টিভি ডেস্ক:

 

বেশি লাভের আশায় গুদামজাত করা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ পচে যাওয়ার কারণে কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দিচ্ছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা। গত তিনদিন ধরে খাতুনগঞ্জের পাশে কর্ণফুলী নদীর সংলগ্ন চাকতাই খালে এসব পেঁয়াজ ফেলা হচ্ছে। খালের পাড়ে এখন বিপুল পরিমাণ পচা পেঁয়াজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

 

এদিকে শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, দাম আরও বৃদ্ধির আশায় আড়তদারদের গুদামে মজুদ করে রাখা পেঁয়াজে পচন ধরেছে। সে পচা পেঁয়াজ এখন আড়ত থেকে বের হচ্ছে প্রতিদিন।

ইউএনবি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চাকতাই খালের কিছুটা দূরে রাতের অন্ধকারে বস্তা পচা পেঁয়াজগুলো কে বা কারা ফেলে গেছে। পেঁয়াজগুলো আকারে ছোট। ফেলে যাওয়া পচা পেঁয়াজের বস্তা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষরা খাওয়ার উপযোগী পেঁয়াজ বেছে নিচ্ছেন।

 

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিস বলেন, ‘পেঁয়াজগুলো মিয়ানমার থেকে আমদানি করা। এসব পেঁয়াজ যখন খাতুনগঞ্জে ঢুকছিল, তখন কিছুটা পচা ছিল। আর আড়তে মজুদ করে রাখার ফলে একেবারে পচে গেছে। তবে তিনি পঁচা পেঁয়াজের আড়তদারের নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি।’

 

এদিকে চাক্তাই এলাকার চাল ব্যবসায়ী আবুল হাসেম বলেন, ‘পেঁয়াজ পচলে ব্যবসায়ীদের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ যে পরিমাণ পেঁয়াজ পচবে, তার ক্ষতি পোষাতে ভালো পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেবেন তারা। এখন প্রতিদিন পচা পেঁয়াজ আড়ত থেকে বের হচ্ছে। প্রশাসনের উচিৎ এসব আড়তদারকে খুঁজে বের করা।’

 

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহেসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, ‘পেঁয়াজ তো বেশি দিন মজুত করে রাখা যায় না। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের অনেক আড়তে পানি ঢুকেছে। তখন হয়তো আড়তে পানি ঢুকে পেঁয়াজগুলো নষ্ট হতে পারে।’

Sharing is caring!